খাঁচার কারখানাটি রাজশাহী নগরের মুন্নাফের মোড় এলাকায়। ‘পাঠাও’–এর রাইডার পণ্য ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে দেন। দেখেশুনে ফরমাশ করা পণ্যটি মিলে গেলেই টাকা দিতে হয়। পছন্দের সঙ্গে না গেলে বা কোনো ত্রুটি থাকলে রাইডারের খরচ দিতে হয় না। এটা খাঁচার ক্রেতাদের মধ্যে দারুণ বিশ্বাস তৈরি করেছে। তাঁরা নিশ্চিন্তে ফরমাশ পাঠান।
খাঁচার মূল পণ্য হচ্ছে শাড়ি, কুর্তি আর ব্লাউজ। শাড়ি ৮৫০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা, কুর্তি ৫৫০ থেকে ৮৫০ টাকা ও ব্লাউজ রয়েছে ৪৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা দামের।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর গ্রামে শাহনাজ সুলতানার বাড়ি। বাবা বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক। মা মনিরা পারভীন গৃহিণী। তাঁরা দুই ভাইবোন। ভাইটি ছোট। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। শাহনাজ সুলতানা রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন। তখন থেকেই ছবি আঁকা, গান করা ও লেখালেখির নেশা ছিল। আপন খেয়ালে কাপড়ে, শাড়িতে আঁকিবুঁকি করতেন। ২০১৬ সালের কথা। তিনি প্রথম বর্ষে পড়েন। এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেলায় তিন হাজার টাকা দিয়ে তাঁরা তিন বন্ধু একটা স্টল নিলেন। নিজের আঁকা কাপড় নিয়ে স্টলে বসেন। প্রথম দিনই সব বিক্রি হয়ে যায়। সারারাত জেগে আবার তৈরি করেন। পরের দিনও সব বিক্রি হয়ে যায়। তিন দিনের মেলায় তাঁর সব পণ্য বিক্রি হয়ে যায়। দারুণ উৎসাহিত বোধ করেন। ধীরে ধীরে তিনি একটি প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান। নাম দেন খাঁচা।