টালিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এক অনন্য নাম। অভিনেত্রীর অবদান বলে শেষ করা যাবে না। তিনি অভিনয়ের মাধ্যমে একজন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী হয়ে ওঠার পাশাপাশি নানা ভূমিকায় তাকে দেখেছেন সিনেপ্রেমী দর্শকরা। এবার অভিনেত্রী থেকে ‘কবি’ হয়ে উঠবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। না এ কোনো সিনেমা চরিত্র নয়; বরং তা বাস্তবজীবনেই এবার কবি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবেন অভিনেত্রী।

এ মুহূর্তে অভিনেত্রীর ব্যস্ততা তুঙ্গে 'বেলা' সিনেমা নিয়ে। গতকাল শুক্রবার (২৯ আগস্ট) তার ‘বেলা’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। অল ইন্ডিয়া রেডিও, মহিলা মহল, বেলা দে— একসময়ের বাঙালির মনেপ্রাণে জড়িয়ে গিয়েছিল এই তিনটি নাম। 

বিশেষ করে বাঙালি মেয়ে, সাধারণ বাঙালি মেয়ের আটপৌরে যাপন এবং পুরুষশাসিত, সংস্কার আচ্ছন্ন সমাজে তার নিঃসঙ্গ লড়াই, তার এই জাগৃতি ও নিজেকে খুঁজে পাওয়ার যাত্রা, তার অহং ও আত্মসম্মানকে পাপোশ থেকে তুলে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর সাহস এবং শক্তি— এই সবকিছুর সঙ্গে একদিন ওতপ্রোতভাবে হয়ে গিয়েছিল বেলা দে-র নাম। এ সময়টা অনেক বাঙালির কাছেই এখন ধূসর। 

সেই সময় রবীন্দ্রনাথ মারা যান। সবে ভারত স্বাধীন হলো। রবীন্দ্রনাথের অবসান ও স্বাধীন ভারতের প্রথম মধ্যরাত এবং জওহরলাল নেহরুর সেই ধ্রুপদী ভাষণ— সব আছে অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ‘বেলা’ সিনেমায়। আর সেই ‘বেলা’ চরিত্রেই দর্শক দেখতে পাবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে।

অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা ও সমানতালে সংসার এবং সন্তানদের সময় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যস্ত জীবন থেকে সময় বের করে নিয়ে নিজের জীবনের নানা ঘটনা কবিতার আকারে লিখে ফেলেছেন ঋতুপর্ণা। ব্যক্তিগত জীবন থেকে অভিনয় জীবনের সবদিক, নানা ওঠাপড়া তিনি তুলে ধরেছেন ‘মাই ব্যালকনি সি অ্যান্ড আদার পোয়েমস’-এ। 

বিগত এক দশক ধরে কবিতা লেখার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন অভিনেত্রী। অবশেষে সেই বই-ই প্রকাশ পাচ্ছে। ঋতুপর্ণার সেই কবিতাই এবার অনুবাদ করা হয়েছে ফরাসি ভাষায়। কলকাতার বুকে আজ শনিবার (৩০ আগস্ট) আলিয়ঁস ফ্রাঁসোতে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বই প্রকাশ অনুষ্ঠান হবে। এ বইটি অনুবাদ করেছেন ত্রিনাঞ্জন চক্রবর্তী। 



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews