কিছুদিন আগে এমনই এক বিপদে পড়েছিলেন একজন ব্যক্তি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসলে আমি বুঝতে পারিনি। হঠাৎ হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল আসে, আমি কলটি রিসিভ করি। রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে ওপাশ থেকে একটি মেয়ে অশ্লীলভাবে বিভিন্ন ভঙ্গি করছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমি কলটি কেটে দিই। কিছুক্ষণ পরেই আমার কাছে এই ভিডিও রেকর্ডটি পাঠিয়ে দিয়ে টাকা দাবি করে। আমি মানসম্মানের ভয়ে তাদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৫১ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিই। এরপর আমি সাইবার ক্রাইমকে (বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন বিভাগ) জানাই। এরপর আমি এই চক্র থেকে বের হই। এটা আমার জীবনের একটি খারাপ অধ্যায়।’
এই বিষয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ও ফাইন্ড মাই অ্যাডভোকেটের প্রতিষ্ঠাতা মো. হায়দার তানভীরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হঠাৎ ভিডিও কল করে স্ক্রিনশট বা ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেল করছে। এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। বর্তমানে একটি প্রতারক চক্র ভিডিও কল করে স্ক্রিনশট বা ভিডিও ধারণ করে মানুষের ব্যক্তিগত মুহূর্তের অপব্যবহার করে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। এই চক্র ভিকটিমকে ব্ল্যাকমেল করে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার অপচেষ্টা চালায়। এ ধরনের কার্যকলাপ সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’