প্রতিপক্ষ বদলালেও বদলায়নি ম্যানচেস্টার সিটি। আরো একবার দেখা দিলো বিধ্বংসী রূপে। যাতে ভস্ম হলো জুভেন্টাস। ইতিলিয়ান চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করলো পেপ গার্দিওয়ালার দল।
ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপের স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে জুভেন্টাসের মুখোমুখি হয় ম্যানসিটি। ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে ইতালির ক্লাবটিকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে সিটি।
গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছিল সিটি-জুভেন্টাস দুই দলই। শেষ ম্যাচটি ছিল মূলত গ্রুপ শীর্ষ হওয়ার লড়াই। কিন্তু সে লড়াইয়ে ‘তুরিনের বুড়ি’দের পাত্তাই দেয়নি পেপ গার্দিওলারা।
আগের ম্যাচে আল আইনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ম্যানসিটি। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখে বৃহস্পতিবার রাতেও। চেনা ছন্দ, গতি, আগ্রাসী ফুটবল ও প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেয়ার ক্ষিপ্রতা; সবই দেখা মিললো।
এ জয়ে শেষ ষোলোয় ম্যানচেস্টা সিটি প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল সৌদি ক্লাব আল হিলালকে। আর জুভেন্টাসের প্রতিপক্ষ ইউরোপের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বলের দখল রেখে ২৪টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখে সিটি। গোলরক্ষক ৭টি সেভ না করলে জয়ের ব্যবধান আরো বড় হতে পারতো। বিপরীতে ২৩ শতাংশ বলের দখল রাখা জুভেন্টাস ৫টি শট নিলেও লক্ষ্যে ছিল ২টি।
এদিন ম্যাচের ৯ মিনিটেই জেরেমি ডকুর গোলে এগিয়ে যায় সিটি। রায়ান আইত-নোরির দুর্দান্ত পাস থেকে নিখুঁত ফিনিশ করেন বেলজিয়ান তারকা। দুই মিনিট পর অবশ্য টেউন কুপমেইনার্স সমতা ফেরান জুভেন্টাসকে।
এরপরও অবশ্য আর লড়াই করতে পারেনি জুভেন্টাস।২৬ মিনিটে পিয়েরে কালুলুর আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান ২-১ করে সিটি। এই ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর ৫২ মিনিটে তৃতীয় গোল করেন আরলিং হালান্ড। এবার অ্যাসিস্ট করেন নুনেস, দুর্দান্ত এক পাসে বল দেন হালান্ডকে। যা জালে জড়াতে ভুল হয়নি তার। যা ছিল স্বীকৃর ফুটবলে হালান্ডের ৩০০ তম গোল।
৬৯ মিনিটে আবারো গোল উদযাপন করে সিট। চতুর্থ গোলটা করেন ফিল ফোডেন। হালান্ডের নিচু ক্রস থেকে বল পেয়ে ফোডেনকে পাস দেন সাভিনহো। জালে বল জড়াতে ভুল করেননি তিনি।
এরপর সাভিনহো নিজেই পেয়ে যান গোল। ৭৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলিয়ান এই তারকার জোরালো শট ক্রসবারে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ৫-১ গোলে এগিয়ে যায় সিটি।
তবে ৮৪ মিনিটে দুসান ভ্লাহোভিচ জুভেন্টাসের হয়ে এক গোল শোধ করে ব্যবধান ৫-২ করেন। ম্যাচের বাকি সময়ে গোল করতে পারেনি কোনো দল।
আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিযোগিতায় ৬৬ বছর পর এই প্রথম ৫ বা তার বেশি গোল হজম করল জুভেন্টাস। সর্বশেষ ১৯৫৮-৫৯ সালে অস্ট্রিয়ান ক্লাব ভিনারের বিপক্ষে ৭-০ গোলে হেরেছিল তারা।