উচ্চ মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে ইআইইউ বলেছে, এর জেরে বিভিন্ন দেশের সরকার জনসেবামূলক কাজে যথাযথ বিনিয়োগ করতে পারবে না। স্বাস্থ্যসেবা খাত মার খাবে বলেই তাদের ধারণা। তবে পরিবার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্চ মূল্যস্ফীতির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়েই এটি ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে কিছু ব্যবসা-বাণিজ্য লাভবান হলেও অনেক প্রতিষ্ঠানের চাহিদা কমবে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এই বাস্তবতায় ব্যবসায়িক মুনাফা কমে যাবে এবং ক্রমবর্ধমান নীতি সুদহারের কারণে করপোরেট বিনিয়োগের গতি কমবে।
মহামারি করোনার ধাক্কায় মন্দা হওয়ার পর থেকে কোম্পানিগুলো অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় ছিল। পুনরুদ্ধার হয়েছে, কিন্তু সব খাত সমানভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২০২৩ সালে অটোমোবাইল ও পর্যটন খাত ২০১৯ সালের পর্যায়ে ফেরত যেতে পারবে না বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এ ছাড়া খুচরা বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের ব্যয় বাড়বে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই দুটি খাতের প্রতিষ্ঠানের মুনাফা বাড়বে না; বরং অনেক ক্ষেত্রে কমবে। এদিকে জ্বালানি ও আর্থিক খাত যে ভূরাজনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে, তা এক বছর আগেও অচিন্তনীয় ছিল। এই বাস্তবতায় ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পূর্বাভাস বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ১ দশমিক ৭ শতাংশ আর ২০২২ সাল শেষে এ প্রবৃদ্ধি দাঁড়াতে পারে ২ দশমিক ৬ শতাংশে।
আগামী বছর সাতটি খাতে কেমন যেতে পারে, তার পূর্বাভাস দিয়েছে ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। এই খাতগুলো হলো—অটোমোবাইল, ভোগ্যপণ্য, খুচরা বিক্রয়, জ্বালানি, আর্থিক সেবা, স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটন খাত।