ব্যাটারদের পথ দেখিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার সেঞ্চুরিতে আসা পুঁজিতে লড়ে পেসাররা এনে দিয়েছে জয়। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশের শঙ্কার জায়গা কাটেনি। প্রথম ম্যাচ জিতলেও স্বস্তিতে নেই লিটন দাসরা। সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ ছাড়া কেউ ভালো করতে পারেননি। বোলিংয়ের শুরুও ভালো ছিল না।
আজ শারজায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুই বিভাগেই উন্নতি করে দাপুটে জয়ের আশা অধিনায়ক লিটন দাসের। রাত ৯টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি দেখা যাবে টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভিতে।
আমাদের আরও ভালোভাবে শেষ করতে হবে। কারণ, শেষ তিন ওভারে আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি।লিটন দাস, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের ম্যাচে পারভেজ ছাড়া বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার উইকেটে টিকতে পারেননি। একপ্রান্তে ৯ ছক্কার রেকর্ড গড়া ইনিংসে ৫৪ বলে ১০০ রান করেন বাঁ-হাতি ওপেনার। তামিম ইকবালের পর বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। বাকি কেউ ২০ রানও ছাড়াতে পারেননি। অথচ উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক।
গত ম্যাচে ব্যাটারদের আউটগুলোও ছিল বিব্রতকর। সবাই উইকেট ছুড়ে এসেছেন। পারভেজকে কেউ যোগ্য সঙ্গ দিতে পারলে স্কোর সহজেই দুইশ পার হয়ে যেত। পরে বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরব আমিরাতের ব্যাটাররাও কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন বাংলাদেশ বোলারদের।
জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ১০ রানের মধ্যে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানে অলআউট হয় আরব আমিরাত। ২৭ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা। জয় পেলেও অস্বস্তি থেকে বের হতে পারেননি সফরকারীরা।
আরও পড়ুন
আজ আবার পাওয়া যাবে না আগের ম্যাচে দারুণ বোলিং করা মোস্তাফিজুর রহমানকে। আইপিএলে খেলতে তিনি এখন ভারতে। দুবাই বিমানবন্দরে তিনদিন আটকে থাকার কারণে প্রথম ওয়ানডেতে পেসার নাহিদ রানা ও লেগ-স্পিনার রিশাদ হোসেনকে একাদশে বিবেচনা করা হয়নি। আজ তাদের দুজনেরই একাদশে থাকার সম্ভাবনা আছে।
তবে মোস্তাফিজের জায়গায় শরীফুল ইসলামও সুযোগ পেতে পারেন। স্পিনার তানভির ইসলামের জায়গায় রিশাদকে দেখা যেতে পারে। টপঅর্ডার ব্যর্থ হলেও ব্যাটিংয়ে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
প্রথম ম্যাচ শেষে লিটন আফসোসের সুরে বলেন, ‘অবশ্যই ভালো স্কোর হয়েছিল। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল। পারভেজ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, খুবই দারুণ ছিল। আমাদের আরও ভালোভাবে শেষ করতে হবে। কারণ, শেষ তিন ওভারে আমরা খুব বেশি রান করতে পারিনি।’
প্রথম ম্যাচে একপর্যায়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ ওয়াসিম ও রাহুল চোপড়ার দারুণ জুটির পর উইকেটে গিয়ে আসিফ খান ঝড় তুললে আধিপত্য দেখাতে শুরু করে স্বাগতিকরা। ১৩ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন উইকেটে ১৩১ রান। জয়ের জন্য ৪২ বলে প্রয়োজন ছিল আর ৬১ রান। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ সাত ওভারে আর মাত্র ৩৩ রান দিয়ে বাকি সাত উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে শারজার গ্যালারিতে ছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উপস্থিতি। পুরো ম্যাচেই বাংলাদেশের জন্য গলা ফাটান তারা। সফরকারী দল হিসাবে এটা বাংলাদেশের জন্য বড় প্রাপ্তি। এই ম্যাচ দিয়েই শারজায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ প্রথম জয় পেল।
শারজায় উইকেট সব সময় রানপ্রসবা। কিছুটা মন্থরও থাকে। পারভেজ প্রতিদিন সেঞ্চুরি করবেন না। তাই বাংলাদেশের বাকি ব্যাটাররা দায়িত্ব না নিলে দ্বিতীয় ম্যাচেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হতে পারে।