মার্কিন নিষেধাজ্ঞা 'এড়িয়ে' ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম পণ্য কেনার অভিযোগ, কী বলছে আদানি গোষ্ঠী?

ছবির উৎস, Bloomberg via Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

ইরানের ওপর আরোপ করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গোষ্ঠী, ফাইল ছবি

৩ মিনিট আগে

অভিযোগ অস্বীকার করে এই প্রতিবেদনকে, 'ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকারক' বলে পাল্টা দাবি করেছে আদানি গোষ্ঠী। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে এমন কোনো তদন্তের বিষয়ে আদানি কর্তৃপক্ষ জানে না।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সোমবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা (ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল) আদানি গোষ্ঠী পরিচালিত গুজরাটের মুন্দ্রা বন্দর ও পারস্য উপসাগরের মধ্যে নিয়মিত ট্যাংকার চলাচলের সময় এমন কিছু বিষয় লক্ষ্য করেছে যা সাধারণত সেই সমস্ত জাহাজে দেখা যায়, "যারা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলতে নিজেদের গতিবিধি আড়াল করে"।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তরফে চালানো তদন্তে দাবি করা হয়েছে, আদানির ট্যাংকারবাহী জাহাজের অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম বা এআইএস (যার মাধ্যমে জাহাজের গতিবিধি সম্পর্কে জানা যায়) -এর তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট স্যাটালাইট ইমেজ 'ভিন্ন' কথা বলছে।

তাদের দাবি, ওই জাহাজ একটা নির্দিষ্ট দিনে ইরাকে নোঙর করা ছিল বলে দাবি করলেও তা ছিল ইরানে।

আদানি গোষ্ঠীর পাল্টা যুক্তি, তারা ওই জাহাজ পরিচালনা করে না বা সেটা তাদের অধীনস্থও নয়। তাই এর আগে ওই জাহাজ কোথায় গিয়েছিল, সেই সম্পর্কে তাদের পক্ষে মন্তব্য করা সম্ভব নয়।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যক্তিদের উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন বিচার বিভাগ আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ ইউনিট, আদানি এন্টারপ্রাইজের কার্গো পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত বেশ কয়েকটা এলপিজি ট্যাংকারের গতিবিধি রিভিউ করে দেখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ছবির উৎস, Kevin Dietsch/Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

ইরানের ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

আদানি গোষ্ঠী আবার স্পষ্ট জানিয়েছ, 'নীতিগত কারণে' ইরান থেকে কোনো কার্গো তাদের বন্দরে আনা হয় না।

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কেনা পুরোপুরি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইরান থেকে তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কিনছে এমন দেশ বা ব্যক্তির ওপর তৎক্ষণাৎ সেকেন্ডারি স্যাংশান জারি করা হবে বলেও ঘোষণা করেছিলেন তিনি।

গতবছর নভেম্বর নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট কোর্টে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে 'প্রমাণ-সহ অভিযোগপত্র' পেশ করা হয়েছিল।

ভারতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের কনট্র্যাক্টের জন্য তিনি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়েছিলেন এবং মার্কিন লগ্নিকারীদের কাছে এই বিষয়টা গোপন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। আদানি গোষ্ঠী এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

সেই সময় এই নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গৌতম আদানির 'নৈকট্যের' প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীরা বিজেপি সরকারকে কটাক্ষও করে।

তবে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ফেডারেল আইন 'ফরেন করাপ্ট প্র্যাকটিসেস অ্যাক্ট'-এর প্রয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। এই আইনের আওতায় মার্কিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ দিলে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হতো।

এই আইনের আওতাতেই ভারতীয় শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ওয়াকিবহাল মহলের মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পর আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্তিতে ছিল আদানি গোষ্ঠী।

কিন্তু ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তোলা এই নতুন অভিযোগ, পুরানো বিতর্ককে আবার উসকে দিয়েছে।

নানা রকম ব্যবসা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর

ছবির উৎস, Light Rocket via Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

নানা রকম ব্যবসা রয়েছে আদানি গোষ্ঠীর

প্রতিবেদনে কী বলা হয়েছে

আদানি গোষ্ঠীর বিস্তৃত বিজনেস পোর্টফলিওর মধ্যে এলপিজি গ্যাস আমদানিও রয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "এশিয়ার দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি তার বিরুদ্ধে আনা বিদেশি ঘুষের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু পরিবর্তে, তার অধীনস্থ সংস্থা ইরানি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য কিনছে কি না সে নিয়ে তদন্তের জন্য প্রসিকিউটরদের মুখোমুখি হতে চলেছেন তিনি।"

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তার 'নৈকট্যের' বিষয়ে উল্লেখ করে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, "ব্রুকলিনের মার্কিন অ্যাটর্নি অফিসের তদন্ত কিন্তু আদানির পুনর্বাসন চেষ্টার জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিদেশে ঘুষের দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত দীর্ঘদিনের আইন প্রয়োগ প্রত্যাহার করে নিলেও ইরান থেকে তেল ও পেট্রোপণ্য কেনার ওপর নজর দিয়েছেন তিনি (ডোনাল্ড ট্রাম্প)।"

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, "জার্নাল ২০২৪ সালের গোড়ার দিকে আদানি-পরিচালিত মুন্দ্রা বন্দর এবং পারস্য উপসাগরের মধ্যে যাতায়াত করা এলপিজি ট্যাংকারের বিষয়ে তদন্ত করে দেখেছে। সেখানে এমন গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে যা সাধারণত সেই সমস্ত জাহাজে দেখা যায় যারা নিজেদের কার্যকলাপকে আড়াল করার চেষ্টা করে- বিশেষজ্ঞরা অন্তত তেমনটাই মনে করছেন।"

এই প্রসঙ্গে লয়েডস লিস্ট ইন্টেলিজেন্স-এর মেরিটাইম রিস্ক অ্যানালিস্ট টোমার রানানের সঙ্গে কথা বলেছিল ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। টোমার রানানের এলপিজি ট্যাংকার ট্র্যাক করার বিষয়ে পারদর্শী।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "তার (টোমার রানানের) মতে এক্ষেত্রে (গতিবিধি সম্পর্কে নজরদারি এড়িয়ে চলতে) সাধারণত যে কৌশল ব্যবহার করা হয়, তাহল জাহাজের অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম বা স্বয়ংক্রিয় শনাক্তকরণ ব্যবস্থাকে হেরফের করা। কারণ এর সাহায্যেই জাহাজের অবস্থান জানা যায়।"

ওয়াল স্ট্রিটের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে গত এপ্রিল মাসে আদানি গোষ্ঠীর এলপিজি কার্গোবহনকারী একটা জাহাজ এসএমএস ব্রোজ ( বর্তমান নাম নীল)-এও ওই একই বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা উয়েছে, "গত বছরের এপ্রিলে পানামার পতাকাবাহী এসএমএস ব্রোজ নামের জাহাজ আদানির জন্য এলপিজি কার্গো বহন করছিল। সেখানে ওই একই বিষয় (গতিবিধির বিষয়ে নজর এড়াতে ) দেখা গিয়েছে।"

"লয়েডস লিস্টের সিসার্চার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে জার্নাল জানতে পেরেছে ওই জাহাজের এআইএস ডেটা অনুযায়ী সেটা, ২০২৪ সালের তেসরা এপ্রিল দক্ষিণ ইরাকের খোর আল জুবায়েরে নোঙর করা হয়েছিল।"

তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি, স্যাটেলাইট ইমেজ কিন্তু সে কথা বলছে না।

প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, "তেসরা এপ্রিলের স্যাটেলাইট ইমেজে এসএমএস ব্রোজকে ইরাকে তার নির্দিষ্ট বার্থে দেখা যায়নি। তবে স্যাটেলাইটে এসএমএস ব্রোজ-এর বৈশিষ্ট্য এবং দৈর্ঘ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে এমন একটা জাহাজের ছবি ধরা পড়েছে যা প্রায় ৩১৫ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে ইরানের টনবুকের এক এলপিজি টার্মিনালে নোঙর করা হয়েছিল।"

"ট্র্যাকার্স ডটকম-এর সামির মাদানির মতে, টনবুকে নোঙর করা জাহাজই ছিল এসএমএস ব্রোজ।"

"এরপর সাতই এপ্রিল এআইএস তথ্য অনুযায়ী, এসএমএস ব্রোজকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে দেখা গিয়েছিল। সেই সময় জলের যে স্তরে তাকে দেখা গিয়েছিল তা থেকে বোঝা যায় সেখানে পণ্য বহন করা হচ্ছে। এআইএস তথ্য অনুযায়ী, আটই এপ্রিল রাতে দক্ষিণ দিকে রওনা দেয় এবং পরের দিন ওমানের সোহারের কাছে উপকূলে নোঙর করে।"

"সংশ্লিষ্ট নথি অনুযায়ী, দশই এপ্রিল আদানি গ্লোবাল পিটিই সোহার প্রায় ১১ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন এলপিজি লোড করে ভারতের মুন্দ্রায় পাঠানোর জন্য এই জাহাজের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। এআইএস-এর ডেটা বিশ্লেষণ করে জার্নালের মনে হয়েছে ওই জাহাজ কখনোই সোহার বন্দরে নোঙর করা হয়নি।"

এরপর মুন্দ্রার উদ্দেশে রওনা দেয় ওই ট্যাংকার।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, "সেখানকার (মুন্দ্রার) কাস্টমস রেকর্ড অনুযায়ী, ১৭ এপ্রিল, আদানি এন্টারপ্রাইজেস একটা পণ্য আমদানি করেছে যার ঘোষিত মূল্য ৭০ লাখ ডলারেরও বেশি।"

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের দাবি আসলে ওই পণ্য এসেছিল ইরান থেকে।

আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন

ছবির উৎস, Light Rocket via Getty Images

ছবির ক্যাপশান,

আদানি গোষ্ঠী জানিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন

আদানি গোষ্ঠী যা জানিয়েছে

আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

সেখানে বলা হয়েছে, "ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তরফে আদানি গোষ্ঠীর অন্তর্গত সংস্থা এবং ইরানের এলপিজির মধ্যে সংযোগের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। কোনো নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন বা ইরানের এলপিজি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করে। এ বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কোনো তদন্ত সম্পর্কে আমরা অবগত নই।"

পাশাপাশি ওই বিবৃতিতে স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনকে "সম্পূর্ণ ভুল ধারণা ও অনুমানের ওপর ভিত্তি করে" লেখা বলেও দাবি করা হয়েছে।

"আদানি গোষ্ঠী জেনেশুনে ইরানের ওপর আরোপ করা মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে লঙ্ঘন করছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, আমরা তা প্রত্যাখ্যান করছি। নীতি অনুযায়ী, আদানি গ্রুপ তাদের কোনো বন্দরে ইরানি পণ্য হ্যান্ডল করে না। সেই তালিকায় ইরান থেকে আসা কোনো চালান বা ইরানের পতাকারধারী জাহাজও রয়েছে।"

"আদানি গোষ্ঠী ইরানের মালিকানাধীন কোনো জাহাজ পরিচালনা করে না বা সুবিধাও দেয় না। আমাদের সমস্ত বন্দরে এই নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা হয়।"

এসএমএস ব্রোজ-এর নোঙরের বিষয়ে যে তথ্যে 'গড়মিলের' অভিযোগ তুলেছে সেই বিষয়েও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে যে শিপমেন্ট (চালানের) কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা থার্ড পার্টির (তৃতীয় পক্ষের) লজিস্টিক পার্টনারশিপের তত্ত্বাবধানে ছিল। সংশ্লিষ্ট নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে ওই জাহাজ ওমানের সোহার থেকে এসেছিল।"

আদানি এন্টারপ্রাইজেস বলেছে, "আমরা এসএমএস ব্রোজসহ কোনো জাহাজ পরিচালনা করি না, সেগুলো আমাদের অধীনস্থও নয়। তাই এই জাহাজগুলোর বর্তমান বা অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে আমরা মন্তব্য করতে পারি না।"

অতীতে যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে

গত বছর আদানির বিরুদ্ধে তার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটা বরাত পাইয়ে দিতে ভারতে ২৫ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার এবং সেই তথ্য মার্কিন লগ্নিকারীদের কাছ থেকে গোপন করার অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। যদিও আদানি গোষ্ঠীর বিবৃতি দিয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, "সব অভিযোগ ভিত্তিহীন"।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পর আপাতত সেই মামলায় একটু হলেও স্বস্তি মিলেছে।

এর আগে ২০২৩ সালে আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কে একটা রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল মার্কিন গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ। এতে আদানি গ্রুপের মালিক গৌতম আদানি ও বিনোদ আদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।

প্রতিবেদনে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, আদানি গোষ্ঠীর অধীন কোম্পানিগুলো গত কয়েক দশক ধরে শেয়ার বাজারে 'ফাঁকিবাজি' এবং হিসাবপত্রে 'জালিয়াতি' করে আসছে।

অভিযোগ করা হয়, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানি ৩৭টি শেল কোম্পানি চালান যেগুলো অর্থপাচারে জড়িত।

আদানি গোষ্ঠী স্পষ্টভাবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

তবে প্রতিবেদন প্রকাশের এক মাসের মধ্যেই, আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৮০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বা ৬.৬৩ লাখ কোটি টাকা কমে যায়। গৌতম আদানিও শীর্ষ ২০ জন ধনীর তালিকার বাইরে চলে আসেন।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ কোম্পানি চলতি বছরের জানুয়ারিতে বন্ধ হয়ে যায়।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews