দখলদরা ইহুদিরা গাজার ৭০ শতাংশ এলাকায় ফিলিস্তিনিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। যার মধ্যে কিছু এলাকাকে নিষিদ্ধ অঞ্চল ঘোষণা করেছে এবং বাকি এলাক গুলি থেকে জোরপূর্বক সরে যাওয়ার নির্দেশ জারি করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় অফিস।
দক্ষিণ গাজায়, রাফাহ গভর্নরেটের বেশিরভাগ অঞ্চলকে ‘নো গো জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে এবং মার্চের শেষ দিক থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী সেসব এলাকায় জোরপূর্বক স্থানান্তরের আদেশ জারি করেছে। উত্তরে, গাজা শহরের প্রায় পুরো এলাকাই একই আদেশের আওতায় পড়ছে, শুধু উত্তর-পশ্চিমের কয়েকটি ছোট এলাকাই এখনো বাদ আছে। শুজাইয়া এলাকার পূর্ব দিক এবং ইসরাইলি সীমান্ত বরাবর বিস্তীর্ণ এলাকাকে সীমিত প্রবেশাধিকার সম্পন্ন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করেছে দখলদার ইসরাইল।
এদিকে, গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৫৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশু। বুধবার স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের বিধ্বংসী সামরিক অভিযান এখন ২০তম মাসে প্রবেশ করার প্রাক্কালে নতুন করে সহিংসতা বাড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
আল-আকসা হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার রাতে গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি স্কুলে হামলা চালায় ইসরাইল। এই স্কুলে শতাধিক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন। হামলায় ২৭ জন নিহত হন, যার মধ্যে নারী ৯ জন ও শিশু ৩ জন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই স্কুলে এটি পঞ্চম হামলা। এদিকে, গাজা সিটির আরেকটি স্কুলে ভোরে হামলা চালিয়ে ১৬ জনকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে আল-আহলি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গাজার অন্যান্য স্থানের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করে অন্তত ১৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা।