চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিএনপির অনুষ্ঠানের একজন উপস্থাপককে নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। এহসান মাহমুদ নামে একজনকে অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থাপনা করতে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ থাকেন বিএনপি বিটের সাংবাদিকরা। তারা এহসান মাহমুদকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মতো অনুষ্ঠানে উপস্থাপনার আপত্তি জানান। পরে তাকে আর মঞ্চে উঠতে দেয়নি আয়োজকরা।

মঙ্গলবার (০১জুলাই) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটেছে। এরআগে বেলা ৩ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াললি যুক্ত হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

এরআগে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন।

সভাপতিত্ব করেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রুহুল কবির রিজভী আহমদ।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ পরিবার সদস্যরা।

অনুষ্ঠানের শুরুর দিকে রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন তিনজন বাকি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করবেন। যার মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, একজন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, আরেকজন সাংবাদিক এহসান মাহমুদ।

পরে অনুষ্ঠানে শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া করেন ওলামা দলের সদস্য সচিব আবুল হোসেন। এরপরই ডায়েসের সামনে এসে এহসান মাহমুদ এক মিনিট নিরবতার ঘোষণা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এহসান মাহমুদ মঞ্চে উঠে কথা বলতেই সামনে থেকে সাংবাদিকরা সমস্বরে ফ্যাসিস্ট, ফ্যাসিস্ট বলে আপত্তি জানান। নেতাকর্মীরাও তাকে মঞ্চে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

পরে আপত্তির কথা শুনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর , শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অন্য নেতারা দাঁড়িয়ে যান। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কানেও চিৎকার পৌঁছায়।

এরপর এহসান মাহমুদকে উপস্থাপনা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য উপস্থাপনাতে জায়গা পাওয়া বাকি দুজনের বিরুদ্ধেও স্বৈরাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিকদের আপত্তির বিষয়টি তারেক রহমানের নজরে আসার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা পেয়ে এহসান মাহমুদকে বিরত রাখা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, একসময় মুজিব কোর্ট পড়ে এহসান মাহমুদ ঘুরে বেড়াতেন। কখনো আওয়ামী লীগ, এখনো জাসদ পরিচয় দিতেন। আওয়ামী লীগ, জাসদের নেতাদের সঙ্গে সবসময় ওঠাবসা করতেন। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও নিয়েছেন। অথচ সেই এহসান মাহমুদ এখন বিএনপির বড় বুদ্ধিজীবী। দলটির বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

বিএনপির কেন্দ্রীয় একজন তরুণ নেতা বলেন, এহসান মাহমুদকে নিয়ে আপত্তির কথা শুনেছি। ১৭বছর ধরে এই সাংবাদিককে তো আমরা কেউ দেখিনি। হঠাৎ করে সে কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অনুষ্ঠানের মূল আয়োজক কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন আমরাও জানি না। উপ-কমিটিতেও তিনি সদস্য সচিবও হয়েছেন। মঞ্চে উপস্থাপনাতেও দেখলাম এই লোক। বিএনপিতে কি উপস্থাপনা করার কেউ নেই?'



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews