রাঙ্গামাটির পাহাড়ি জনপদের হাটবাজারে এখন চলছে মৌসুমি ফল আম, আনারস আর কাঁঠালের সমারোহ। চারদিক মৌসুমি ফলের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হয়ে আছে। কাপ্তাই হ্রদে ভাসমান হাটসহ রাঙ্গামাটির প্রায় প্রতিটি হাটে জমজমাট হয়ে উঠেছে দেশীয় ফলের বেচাকেনা।
রাঙ্গামাটি শহরের কলেজ গেট, বনরূপা, তবলছড়ি বাজার থেকে শুরু করে কাপ্তাই হ্রদের পাড় ঘেঁষা বনরূপা সমতা ঘাট, পৌর ট্রাক টার্মিনালে প্রতিদিনই জমে উঠছে বাহারি ফলের বাজার।
পাহাড়ি মিষ্টি আম, আনারস আর কাঁঠালে সয়লাব চারিদিক। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ট্রাক, মিনি ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশায় করে প্রতিদিন সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। মৌসুমি ফলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় শহরের হাটে-হাটে ও ল্যান্ডিং ঘাটে চলছে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্য দেখা গেছে।
স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই বাজারে পাকা আমের সরবরাহ শুরু হয়। আর রাঙ্গামাটির আনারস আর কাঁঠালের সরবরাহও প্রচুর। এখন প্রতি কেজি আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
এছাড়া মে মাসের শুরু থেকে পাওয়া যাচ্ছে পাকা ও আধা পাকা কাঁঠাল, যা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৮০ টাকা দরে। আকারভেদে এক জোড়া আনারস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ১০০ টাকায়।
রাঙ্গামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি বছর রাঙ্গামাটি জেলায় তিন হাজার ৬২৮ হেক্টর জমিতে আম, তিন হাজার ৩৭৩ হেক্টরে কাঁঠাল, ১৯ হাজার তিন হেক্টরে লিচু এবং দুই হাজার ৫৩৭ হেক্টরে আনারস চাষ হয়েছে। চারটি মৌসুমি ফল থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ ১০ হাজার ৭৭০ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মো: মুনিরুজ্জামান জানান, ‘এবার আগাম বৃষ্টির কারণে ফলন তুলনামূলক ভালো হয়েছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় আম ও লিচুর ফলন কিছুটা কম। তবুও বাজারে দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ফরমালিনমুক্ত এবং স্বাদে অনন্য রাঙ্গামাটির পাহাড়ি মৌসুমি ফলের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি । তাই চাষি থেকে শুরু করে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা সকলেই এবার আশাবাদী রাঙ্গামাটির পাহাড়ি মৌসুমি ফলের বাণিজ্য নিয়ে।’