বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) শেষ বেশ কয়েক মাস হলেও এখনো কাটেনি তার রেশ। নানা বিতর্কে জর্জরিত এই আসর নিয়ে অবশেষে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জানিয়েছে দেনা-পাওনার হিসাব।
গত বিপিএলে অংশগ্রহণকারী সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে প্রাইজমানি ও টিকিট বিক্রির আয়ের অংশ বিতরণের ঘোষণা আগেই দিয়েছিল বিসিবি। এবার সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়েছে তারা।
তবে লভ্যাংশ বন্টনের আগে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর কাছে পাওনা ঠিকই বুঝে নিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর প্রাপ্য অর্থ থেকে বকেয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি ও খেলোয়াড়দের বকেয়া কেটে রাখা হয়েছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, খেলোয়াড়দের বকেয়া, স্টাফদের পারিশ্রমিক ও আনুষঙ্গিক সব খরচের অর্থ বুঝে নিয়ে
ফ্রাঞ্চাইজিগুলো বিসিবির কাছ থেকে লভ্যাংশ হিসেবে কত টাকা পাবে, তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বোর্ড।
অবশ্য ফ্রাঞ্চাইজি লভ্যাংশ পাচ্ছে না। সব হিসেব নিকেশের পর বরিশাল, রংপুর, চিটাগং ও খুলনা টাইগার্স পাচ্ছে লভ্যাংশ। তবে রাজশাহী ও সিলেটের কাছে উল্টো টাকা পাবে বিসিবি। আর ঢাকার হিসাব সমানে সমান।
চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল তাদের সব পাওনা পরিশোধ করে দেয়ায় টিকিট বিক্রির লভ্যাংশের পুরো ৫৫ লাখ টাকা পাচ্ছে। সেইসাথে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রাইজমানির দু’ কোটি ৫০ লাখ টাকাও পাচ্ছে দলটা।
রানার্সআপ চিটাগং কিংসের প্রাইজমানি ও টিকিটের লভ্যাংশ মিলিয়ে তাদের বিসিবির কাছ থেকে পাওয়ার কথা ছিল দু’ কোটি পাঁচ লাখ টাকা। তবে দলটির বকেয়ার খাতা ছিল বড়।
হোটেল বিল ১৫ লাখ টাকা ও খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক বাবদ প্রথম ধাপে ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার ও দ্বিতীয় ধাপে আরো ৫২ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা পরিশোধ করতে হয় বিসিবির। এছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি আছে আরো ১৫ লাখ টাকা।
পাওনা আর বকেয়া শেষে চিটাগং কিংস পাচ্ছে ৩৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকা। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ ৫০ লাখ টাকা পাওনা থাকায় রংপুর রাইডার্সও প্রাপ্য সব টাকা পাচ্ছে না। ৯৫ লাখ টাকার ভেতর ৪৫ লাখ পাচ্ছে দলটা।
এছাড়া খুলনা টাইগার্স সব মিলে এক কোটি ১৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফির ২৫ লাখ ও পারিশ্রমিকের ৪৮ লাখ টাকা কেটে তারা পাবে ৪২ লাখ টাকা।
ঢাকা ক্যাপিটালসের পারিশ্রমিক বকেয়া ৪৫ লাখ, টিকিট বাবদ পাওয়ার কথা এই পরিমাণ অর্থ। তাদের তাই দেনাও নেই, পাওনাও নেই। কিন্তু সিলেট ও রাজশাহী দু’দল কোনো লভ্যাংশ তো পাবেই না, উল্টো তাদের কাছে বিসিবি টাকা পাবে।
সিলেট টিকিট বিক্রির ৪৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা থাকলেও তারা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফির ১৫ লাখ, পারিশ্রমিক বাবদ ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেনি। তাই বোর্ডকে এখন নয় লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে তাদের।
রাজশাহীর ৪৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা ছিল টিকিটের লভ্যাংশ থেকে। তবে খেলোয়াড়দের ৫৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা এখনো বকেয়া, তাই বোর্ড উল্টো পাবে নয় লাখ ৯০ হাজার টাকা।