পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুর মাছ ।। ছবি: সংগৃহীত

রাক্ষুসে স্বভাবের কারণে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পিরানহা মাছ চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারে বিক্রি এবং বাজার থেকে ক্রয় সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর ২০১৪ সালের জুন থেকে আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন, বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে গেল শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) কাওরানবাজারে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বিপুল আফ্রিকান মাগুর এবং পিরানহা মাছ উদ্ধার করেছে। কিভাবে বাংলাদেশে এলো পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুর? আফ্রিকান মাগুর আশির দশকের শুরুতে উৎপাদনের উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। কিন্তু গবেষণায় এর আগ্রাসী আচরণের বিষয়টি সামনে এলে সরকার মাছটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পিরানহা মাছ কবে কিভাবে এসেছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য মেলেনি। মাছটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় নয়, বরং চোরাই পথে আসতে পারে বলে ধারণা করা হয়। জানা যায়, থাইল্যান্ড থেকে প্রথম এই মাছ বাংলাদেশে আনা হয় এ্যাকুয়ারিয়ামের বাহারি মাছ হিসেবে। পরে মাছ চাষিরা মাছগুলো খাওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবরুদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা শুরু করে। মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ময়মনসিংহের ও কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চলের ডোবা বা পুকুরে পিরানহার উৎপাদন ও চাষ করার অভিযোগ পেয়েছেন তারা। ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জে আফ্রিকান মাগুরের চাষ হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলছেন, অনেক মাছ চাষিরা না জেনেই এসব মাছ চাষ করছে। তবে সেটা খুবই সীমিত। এসব মাছের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর তদারকি করা হচ্ছে। আমরা যেখানেই এই মাছ চাষ হতে দেখেছি, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাছ চাষিদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি তারা যেন এই মাছ চাষ না করেন। এই মাছগুলোর উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি, গ্রাম থেকে শহরের মৎস্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রগুলো মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। কিন্তু এ বিষয়ে আলাদা কোন কর্তৃপক্ষ নেই। মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণে যে সংস্থাগুলো কাজ করে তারাই সব তদারকি করছে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রত্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে, যে স্থানগুলো সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পড়ে না যেমন ব্রিজের নীচে, বদ্ধ জলাশয়ে এই মাছগুলো গোপনে চাষাবাদ হতে পারে। এ বিষয়টি আমরা কঠোর নজরদারির আওতায় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।  নিষিদ্ধ এই মাছ দুটির উৎপাদন ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা হাতে নেয়া হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা। এসএ/এসএস

রাক্ষুসে স্বভাবের কারণে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পিরানহা মাছ চাষ, উৎপাদন, পোনা উৎপাদন, বংশ বৃদ্ধি, বাজারে বিক্রি এবং বাজার থেকে ক্রয় সরকারিভাবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আর ২০১৪ সালের জুন থেকে আফ্রিকান মাগুরের আমদানি, উৎপাদন, বিপণনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে গেল শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) কাওরানবাজারে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বিপুল আফ্রিকান মাগুর এবং পিরানহা মাছ উদ্ধার করেছে।কিভাবে বাংলাদেশে এলো পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুর? আফ্রিকান মাগুর আশির দশকের শুরুতে উৎপাদনের উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। কিন্তু গবেষণায় এর আগ্রাসী আচরণের বিষয়টি সামনে এলে সরকার মাছটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে পিরানহা মাছ কবে কিভাবে এসেছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত কোন তথ্য মেলেনি। মাছটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় নয়, বরং চোরাই পথে আসতে পারে বলে ধারণা করা হয়। জানা যায়, থাইল্যান্ড থেকে প্রথম এই মাছ বাংলাদেশে আনা হয় এ্যাকুয়ারিয়ামের বাহারি মাছ হিসেবে। পরে মাছ চাষিরা মাছগুলো খাওয়ার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অবরুদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা শুরু করে। মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ময়মনসিংহের ও কুমিল্লার বিভিন্ন অঞ্চলের ডোবা বা পুকুরে পিরানহার উৎপাদন ও চাষ করার অভিযোগ পেয়েছেন তারা। ঢাকার কামরাঙ্গীরচর ও নারায়ণগঞ্জে আফ্রিকান মাগুরের চাষ হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা দাবি করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলছেন, অনেক মাছ চাষিরা না জেনেই এসব মাছ চাষ করছে। তবে সেটা খুবই সীমিত। এসব মাছের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর তদারকি করা হচ্ছে। আমরা যেখানেই এই মাছ চাষ হতে দেখেছি, সেখানেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। মাছ চাষিদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করছি তারা যেন এই মাছ চাষ না করেন। এই মাছগুলোর উৎপাদন ও বিপণন বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি, গ্রাম থেকে শহরের মৎস্য অধিদপ্তরের কেন্দ্রগুলো মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। কিন্তু এ বিষয়ে আলাদা কোন কর্তৃপক্ষ নেই। মূলত বাজার নিয়ন্ত্রণে যে সংস্থাগুলো কাজ করে তারাই সব তদারকি করছে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রত্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে, যে স্থানগুলো সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পড়ে না যেমন ব্রিজের নীচে, বদ্ধ জলাশয়ে এই মাছগুলো গোপনে চাষাবাদ হতে পারে। এ বিষয়টি আমরা কঠোর নজরদারির আওতায় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। নিষিদ্ধ এই মাছ দুটির উৎপাদন ও বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা হাতে নেয়া হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা। এসএ/এসএস



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews