ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর পর থেকে সিলেটে বৃষ্টি হচ্ছে। ঈদের আগের দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও ঈদের পর দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির দাপটে এবার সিলেটের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের তেমন উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি।
এবার কোরবানির ঈদে বৃষ্টির প্রভাব থাকায় পর্যটকদের তেমন সাড়া মিলছে না। কোম্পানীগঞ্জে সাদা পাথরের পর্যটনকেন্দ্রে ঈদের দিন পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল হাতেগোনা। তবে দুপুরের দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কিছু পর্যটক সেখানে ঘুরতে যান।
স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল জলিল নয়া দিগন্তকে বলেন, ঈদের দিন সাধারণত পর্যটক উপস্থিতি কম থাকে। অনেকে আশা করেছিলেন ঈদের পরের দিন পর্যটক উপস্থিতি বাড়বে। কিন্তু সেভাবে কেউ আসেনি। তবে গতকাল বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা নিয়ে অনেকেই সেখানে হাজির হন।
এদিকে রাতারগুলেও বৃষ্টির প্রভাবে পর্যটকদের উপস্থিতি কম ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। রাতারগুল গ্রামের বাসিন্দা সোনা মিয়া বলেন, কিছু পর্যটক এসেছেন। তবে বৃষ্টির কারণে সেটা আশানুরূপ না। তবে সিলেটের চা-বাগানগুলোতে পর্যটকদের ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। শহরতলির বিমানবন্দর সড়কের পাশে ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশের চা-বাগানগুলোতে বিনোদনপ্রেমীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে তাদের অধিকাংশই স্থানীয় পর্যটক বলে জানা গেছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্তা হাজং বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সব দিক বিবেচনায় সতর্ক আছে উপজেলা প্রশাসন। নদের পানি বাড়লে যাতে তারা ঝুঁকি নিয়ে সেখানে যাতায়াত না করেন, এ জন্য নৌকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে লাইফ জ্যাকেট রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো: রতন শেখ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।