ধবলধোলাই এড়াতে বড় পুঁজিই পেল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ১৯৬ রান তুলেছে স্কোরবোর্ডে। বোলাররা এবার নিজেদের কাজটা করতে পারলেই, সান্ত্বনার একটা জয় নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন লিটনরা। টানা দুই ম্যাচে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই।
রোববার টাইগাররা মাঠে নেমেছে ধবলধোলাই এড়াতে। সেই লক্ষ্যে লাহোরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ।
একাদশে পরিবর্তন আসবে জানাই ছিল। আগের ম্যাচে চোট পেয়ে ছিটকে যান শরিফুল ইসলাম। তার বদলে খালেদ আহমেদকে নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। এই ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হলো এই খালেদের।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের ব্যাটে রান আসতে থাকে দ্রুত গতিতে। পাকিস্তানের মাঠে প্রথম বিদেশী দল হিসেবে উদ্বোধনী জুটিতে এক শ’ রানের কীর্তি গড়ে টাইগাররা।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে রেকর্ডগড়া শতকের পর পরের চার ম্যাচে আর দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি পারভেজ ইমন। তবে আজ জ্বলে উঠলেন, শুরু থেকেই আগ্রাসন চালিয়ে মাত্র ২৭ বলে তুলে নিলেন ফিফটি।
আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন আজো। প্রথম দুই ম্যাচের মতো সাবলীল ব্যাট করতে থাকেন তিনি। তাদের সৌজন্যে ১১তম ওভারেই ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।
১৮ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে আসে শতাধিক রান। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ১০৮ রান যোগ করেছিলেন সৌম্য সরকার ও তানজিদ। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে পঞ্চমবার জুটিতে শতরান দেখল বাংলাদেশ।
তবে এরপর আর জুটি বড় হয়নি, একই ওভারে থামতে হয় তামিমকে। ফাহিম আশরাফের বলে ফেরেন ৩২ বলে ৪২ করে। ১১ ওভার শেষে স্কোর ১ উইকেটে ১১০ রান।
পরের ৩ বলে আর মাত্র ৩ রান যোগ করতেই পারভেজ ইমনের উইকেটও হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। শাদাব খানের শিকার হবার আগে ৭ চার আর ৪ ছক্কায় করেন ৩৪ বলে ৬৬ রান।
লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয় মিলে পরিস্থিতি সামলে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরের ৩১ বলে ৪৯ রান যোগ করেন দু'জনে। তবে দুই জনের কেউ পারেননি ইনিংস বড় করতে। লিটন ১৮ বলে ২২ ও সমান ১৮ বলে ২৫ করেন হৃদয়।
শামিম পাটোয়ারীর প্রমোশন হলেও সুবিধা করতে পারেননি। ৫ নম্বরে নেমে ফেরেন ৪ বলে ৮ করে। আর সাতে নেমে মেহেদী মিরাজ করেন ৩ বলে ১। তবে জাকের আলি ৯ বলে ১৫ ও তানজিম ৩ বলে ৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
সুবাদে ৬ উইকেটে ১৯৬ রানে পৌঁছায় বাংলাদেশ। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সর্বোচ্চ পুঁজি। আগের সেরা ছিল ৬ উইকেটে ১৭৫, ২০১২ বিশ্বকাপে পাল্লেকেলেতে।
হাসান আলি ও আব্বাস আফ্রিদি নেন জোড়া উইকেট।