কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে সাগরে ডুবে প্রাণ হারানো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষার্থী সাদমান রহমান সাবাব ও আসিফ আহমেদের গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) জোহর নামাজের পর চবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা নামাজে ইমামতি করেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: শহিদুল হক।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
নামাজ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রো-ভিসি (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো: শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এই ঘটনা আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষা। আমরা আবেগ নয়, বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিবো। যাতে পরিবার, জাতি কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের ভবিষ্যৎ, তাই সেই অনুযায়ী কাজ করব।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে কক্সবাজারের হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে প্রবল স্রোতের টানে তলিয়ে যান চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন অরিত্র হাসান, আসিফ আহমেদ ও কে এম সাদমান রহমান সাবাব।
মঙ্গলবার সকালেই সাবাবের লাশ উদ্ধার করা হয়। সাবাবের বাড়ি রাজধানী ঢাকার মিরপুরে। পরদিন বুধবার সকালে উদ্ধার করা হয়েছে আসিফের লাশ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অরিত্র হাসান নামে আরো এক শিক্ষার্থী। তিনি বগুড়া জেলার ঠনঠনিয়া দক্ষিণ পাড়ার মো: আমিনুল ইসলামের ছেলে। এদিকে প্রতিভাবান তিন তরুণের এমন মৃত্যুর ঘটনায় তাদের পরিবারের পাশাপাশি সহপাঠীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।