ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শীর্ষ ইউরোপীয় কূটনীতিকরা বৃহস্পতিবার ইরানকে জানিয়েছেন, তেহরান যদি পারমাণবিক চুক্তিতে না পৌঁছায় তবে তারা পুনরায় জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা জারি করবে।
প্যারিস থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানিয়েছে, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিকরা বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির সাথে বৈঠক করেন।
সেখানে তারা জানিয়েছেন, আগস্টের শেষ নাগাদ যদি তেহরান কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না দেখায়, তবে ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া চালু করা হবে। এর আওতায় ইরানের বিরুদ্ধে সব আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ফের কার্যকর হবে।
তারা তেহরানকে বোঝাতে চাপ দিচ্ছেন, দেরি না করে দ্রুত কূটনৈতিক পথে ফিরতে হবে। যাতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি শক্তিশালী, যাচাইযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানো যায়।
গত জুনে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর পর দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নানা জল্পনা চলছে।
২০১৫ সালে ইরানের সাথে হওয়া পারমাণবিক চুক্তিতে একটি শর্ত রয়েছে। ওই শর্তের অধীনে, তেহরান যদি চুক্তি না মানে, তবে ‘স্ন্যাপব্যাক’ নামে একটি প্রক্রিয়া চালু করে জাতিসঙ্ঘের নিষেধাজ্ঞা আবার জারি করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।
চলতি বছরের অক্টোবরে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই ইউরোপীয় কূটনীতিকরা আগস্টেই কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে চান।
গত এপ্রিল থেকে ওমানের মধ্যস্থতায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হলেও ১৩ জুন ইসরাইলের হামলার পর তা ভেঙে পড়ে। এরপর ওয়াশিংটনও ইরানে হামলা চালায়, যা কার্যত পরমাণু আলোচনার ইতি টানে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু তেহরান জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের অধিকার থেকে কোনোভাবেই সরে আসবে না।
সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কার্যক্রম বন্ধ করার শর্ত থাকলে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন কোনো আলোচনায় বসবে না।
সূত্র : বাসস