বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমি নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হেফাজত এবং সমৃদ্ধ দেশ গঠনে ইসলামপন্থীরা অধিকতর প্রতিশ্রুতিশীল। তাই একটি ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইসলামপন্থীদের পক্ষে জনগণকে রায় দেয়ার আহ্বান জানাই।’
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে চট্টগ্রামের শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জামাল খানস্থ মহানগর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজনে মহানগরীর সেক্টর ও থানা দায়িত্বশীলদের নিয়ে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে নগর সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরীর সমাবেশে সঞ্চালনা করেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের নগর সহ-সভাপতি মকবুল আহম্মেদ ভূঁইয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদ উল্লাহ আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক মো: নুরুন্নবী, অফিস সম্পাদক স ম শামীম, ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুনিরুল ইসলাম মজুমদার, পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ দেড় দশক পর দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২০২৬ সালের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের জন্য অন্তবর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে। সেই প্রত্যাশা পূরণ হলে আগামীর নির্বাচন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলে আশা করা যায়। ২০২৬-এর এই নির্বাচন আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে, তা অনেকখানি নির্ধারণ করবে। তাই শ্রমিকজনতাসহ সকল নাগরিককে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী বলেন, ‘চট্টগ্রামের শ্রমিক-মেহনতি মানুষের বহুল আকাঙ্ক্ষিত সুন্দর নগর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজন দেশপ্রেমিক, জনদরদী ও দক্ষ নেতৃত্ব। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও পেশি-শক্তির রাজনীতি দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, টেকসই উন্নযন ও যথাযথ নাগরিকসেবা দেয়া সম্ভব নয়। তাই গতানুগতিক রাজনীতি জনগণ আর দেখতে চায় না। জনগণ নতুন রাজনীতি দেখতে চায়, নতুন নেতৃত্ব পেতে চায়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত নেতৃত্ব দেখতে চায়।
জামায়াত জনগণের প্রত্যাশিত সেই নেতৃত্ব উপহার দিতে বদ্ধপরিকর বলে তিনি জানান।