প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ইতোমধ্যেই সিরিজ নিশ্চিত বাংলাদেশের, আজ টাইগাররা মাঠে নামছে ধবলধোলাইয়ের লক্ষ্যে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩-০ তে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য লিটন বাহিনীর।
তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বুধবার নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে খেলবে দু’দল।
নেদারল্যান্ডসের সাথে এর আগে কখনো সিরিজ খেলেনি বাংলাদেশ, প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে এসে লজ্জার সম্মুখীন ডাচরা, দাঁড়িয়ে ধবলধোলাইয়ের দোরগোড়ায়।
প্রথম ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ছিল পঁচা শামুকে পা কাটার শঙ্কায়। এর কারণও আছে, এই দলটার সাথে অনেকবার লজ্জায় পড়তে হয়েছে টাইগারদের। হেরেছে বিশ্বকাপের মতো আসরেও।
গত ভারত বিশ্বকাপেও তো দলটির কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। তিন ওয়ানডে খেলে দু’টিতেই হেরেছে টাইগাররা, পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলে হেরেছে এক ম্যাচে।
খুব একটা ব্যবধান নেই র্যাঙ্কিংয়েও। বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিং ১০, নেদারল্যান্ডসের ১৩। ফলে ফেভারিট বলে আত্মতুষ্টির সুযোগ ছিল না। যেকোনো সময় হতে পারে যেকোনো কিছুই। ভালো খেলাটাই ছিল বড় লক্ষ্য।
সেই লক্ষ্য বেশ ভালোভাবেই পূরণ করেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচেই নেদারল্যান্ডসকে পাত্তাই দেয়নি লিটন দাসের দল। প্রথম ম্যাচে ৩৯ বল আর ৮ উইকেটে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয় ৪১ বল আর ৯ উইকেট হাতে রেখে।
এমন দারুণ দুই জয়ের পর শুরুর শঙ্কাটা কেটে গেছে বেশ ভালোভাবেই। তাছাড়া বোলাররা যে ছন্দে আছেন, তাতে নিশ্চিন্ত হতেই পারে বাংলাদেশ। তাসকিন-মোস্তাফিজদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ডাচরা।
আবার ব্যাট হাতে ‘প্রথম’ চারজন আছেন ছন্দে। দুই ম্যাচে দুই ফিফটি এসেছে। তানজিদ তামিম ও লিটন দাস জিতিয়েছেন দলকে। বিশেষ করে অধিনায়কের ছন্দ টাইগারদের করেছে আরো আত্মবিশ্বাসী।
লিটন কুমার দাসের অধিনায়কত্বটা শুরু হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো! সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পাকিস্তান সফরে গিয়ে ধবলধোলাই। তবে লিটনের দল এরপর দ্রুতই ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
শ্রীলঙ্কার মাটিতে পিছিয়ে পড়ে সিরিজ জয়ের পর ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দিয়ে হ্যাটট্রিক সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। এবার ধবলধোলাই দিতে পারলে হবে অনন্য অর্জন।
এদিকে, আগেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় আজকের ম্যাচটি কার্যত নিয়ম রক্ষার। তবে এশিয়া কাপের আগে এটাই শেষ ম্যাচ হওয়ায় স্বাগতিকরা এই ম্যাচকে বেছে নিতে পারে বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করার জন্য।
পাকিস্তানের বিপক্ষে গত সিরিজেও এই ধারার দেখা মেলে। সেবার সিরিজ জয়ের পর তারা শেষ ম্যাচে একাদশে আনেন ৫ পরিবর্তন। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ওই ম্যাচ হারলেও ইতিবাচক মনোভাব স্পষ্ট হয়ে উঠে।
আজও একই দৃশ্যপট, আজও কি একই পথে হাঁটবেন লিটন-সিমন্স! যুক্তি বলে হাঁটার কথা। যদি তাই হয় তবে শেষ ম্যাচে নুরুল হাসান সোহান ও সাইফুদ্দিনকে দেখা যেতে পারে একাদশে।
ফেরানো হতে পারে রিশাদ হোসেন ও শরিফুল ইসলামকেও। তারা প্রথম ম্যাচে সুযোগ পেলেও তেমন কিছু করতে পারেননি।