একসময় শুধু উচ্চবিত্তরা এই সেবার গ্রাহক হলেও এখন মধ্যবিত্ত ও ভালো আয়ের গ্রাহকেরা এই সেবার দিকে ঝুঁকছেন। এতে তাঁদের একজনের সঙ্গে আরেকজনের পরিচয় ঘটছে। অনেক সময় ব্যাংকগুলো এসব গ্রাহককে নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ফলে সমাজে নতুন একটি শ্রেণি গড়ে উঠছে।
দেশে এ ধরনের অগ্রাধিকার পাওয়া ব্যাংক গ্রাহকের সংখ্যা এখন এক লাখের বেশি। তাঁরা ব্যাংকগুলোয় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত জমা রেখেছেন। দিন দিন এ ধরনের গ্রাহকের সংখ্যা ও আমানতের পরিমাণ বাড়ছে। বদৌলতে ব্যাংকগুলোর প্রায়োরিটি তথা অগ্রাধিকার সেবা ক্রমেই বড় হচ্ছে।
বহুজাতিক স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে প্রথম দেশে প্রায়োরিটি বা অগ্রাধিকার ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। ২০০৯ সালে ইস্টার্ন ব্যাংক ও পরে দেশীয় বিভিন্ন ব্যাংক এই সেবা চালু করে। এতে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে অগ্রাধিকার ব্যাংকিং সেবার মান উন্নত হচ্ছে। যেমন সিটি ব্যাংক তাদের শাখার বাইরে পৃথকভাবে সিটেজেম সেন্টারের মাধ্যমে অগ্রাধিকার গ্রাহকদের সেবা দেয়। বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক, ইউসিবি, প্রাইম ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি), সাউথইস্ট ব্যাংকসহ নতুন-পুরোনো আরও কিছু ব্যাংকের এই সেবা রয়েছে। ফলে গ্রাহকেরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন।
উন্নত বিশ্বে বহুজাতিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে এই সেবা দেওয়ার চর্চা আছে। বৈশ্বিকভাবে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের সম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যক্তিগত ব্যাংকিংসহ আরও কিছু সেবা দিয়ে থাকে। তবে আইনি সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের ব্যাংকগুলো এখনো ব্যাংকিং সেবার মধ্যেই রয়েছে। এর মাধ্যমে তারা একশ্রেণির গ্রাহকের জীবনযাত্রায় বাড়তি সুবিধা দেয়।