অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংক খাত সংস্কারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নীতিমালা হাজির করেছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব ও কর্মতৎপরতা প্রশংসনীয়। দীর্ঘ আমলা-নেতৃত্ব যুগের অবসান ঘটিয়ে প্রায় ৯ বছর পর আবার একজন অর্থনীতিবিদকে গভর্নর বানানো হয়েছে। তিনি বেশ কিছু নীতি সংস্কারে হাত দিয়েছেন। এগুলোর পেছনে মূলত আইএমএফের উদ্যম এবং বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সমর্থন রয়েছে।
এত সম্মিলিত উদ্যমের পরও প্রশ্ন থেকে যায়, মূল ব্যাধি তথা খেলাপি ঋণের রোগ আদৌ কি ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়বে? এ না ছাড়ার কারণ কি শুধুই রাজনৈতিক, নাকি ঋণ বিতরণ কৌশলের ভুল?
বড়লোক বাবার এক ছেলে বখাটে ও আরেক ছেলে কিছুটা দায়িত্ববান। বাবা চান ছেলেরা নিজের পায়ে দাঁড়াক। কিন্তু মায়ের অতি আহ্লাদে শেষতক বাবা তাদের মাসে মাসে মোটাদাগের তহবিল দিতে বাধ্য হন। কিছুদিন পর দেখা গেল, বখাটে আরও বখাটে হয়েছে এবং ভালো ছেলেটিও নতুন করে ‘বাহুত্রা’ হয়ে গেছে। এটি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের চিত্র।