ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিকাব পরে ভাইভা দিতে আসায় ছাত্রীদের হেনস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে ইসলামবিদ্বেষী কিছু শিক্ষক ইসলামপ্রিয় শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করছে।’
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা এ প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিকাব পরে ভাইভা দিতে আসায় কয়েক ছাত্রীকে হেনস্থা করে নিকাব খুলতে বাধ্য করা হয়েছে। এক ছাত্রী নিকাব খুলতে অস্বীকার করায় তার ভাইভা নেয়া হয়নি। এটা শুধু বেআইনিই নয়, বরং সুস্পষ্ট সংবিধান ও ধর্ম অবমাননা।’
তারা আরো বলেন, “এ অপকর্মের পর অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান চাঁন বলেছেন, ‘যারা পর্দা করে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে বাসায় থেকে পড়াশোনা করা উচিত।’ তার এই উদ্ধতপূর্ণ বক্তব্যে জাতি বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। তার এ বক্তব্য আইন ও সংবিধানবিরোধী। যথাযথভাবে ধর্ম পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও সংবিধান স্বীকৃত।’’
শিবির নেতারা বলেন, ‘আমরা ওই শিক্ষককে বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয় আপনার পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। তাছাড়া পর্দানশিন শিক্ষার্থীরা আপনার বা কারো দয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি, বরং হাজার হাজার মেধাবীর সাথে প্রতিযোগিতা করে তারা মেধা ও যোগ্যতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখানে পড়াশোনা করছে। তাই পর্দানশিন শিক্ষার্থীদের ওপর নিজের ইচ্ছা প্রতিফল করার কোনো অধিকার এসব শিক্ষকদের নেই।’
তারা বলেন, ‘এর আগেও ঢাবিতে পর্দানশিন শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করা হয়েছে। ছাত্রীরা রাজপথে তার প্রতিবাদ ও দাবি পেশ করেছে। কিন্তু বারবার ঢাবিতে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাচ্ছে কিছু শিক্ষক। এছাড়াও চট্টগ্রাম নার্সিং ইন্সটিটিউট, ঢাকার বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ, মতিঝিল মডেল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়। পর্দানশিন ছাত্রীদের হেনস্থা করা হয়।’
শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘অবিলম্বে হিজাব-নিকাব বিরোধিতার অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ছাত্রজনতা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি