একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন জনগণের একটি দীর্ঘদিনের দাবি। এ দাবির পক্ষে অংশীজনেরা দশকের পর দশক কথা বলে আসছিলেন। জুলাই আন্দোলনেও এটি ছিল প্রধান আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু ২০২৫ সালের ৯ ডিসেম্বর গেজেট হওয়া পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ২০১৫ সেই দাবিকে নির্মম ও নির্লজ্জভাবে ভেঙে দিয়েছে।
এই অধ্যাদেশের ভিত্তিতে যদি কোনো সংস্থা গঠন করা হয়, তবে তা শুধু উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থই হবে না; বরং সরকারের নিয়ন্ত্রণ আরও শক্ত করবে। বিশেষ করে এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রভাব বাড়বে।
এই তথাকথিত কমিশন থেকে বড়জোর যা মিলবে, তা হলো ‘আইওয়াশ’ বা লোকদেখানো তৎপরতা। এটি অবসরপ্রাপ্ত বা ডেপুটেশনে থাকা আমলাদের জন্য আরামদায়ক ‘পুনর্বাসনকেন্দ্র’ হয়ে উঠবে। এটি পুলিশের ভুল, অপরাধ ও অনিয়মকে রক্ষা, উৎসাহ ও দায়মুক্তি দেওয়ার কাজই করবে। এতে জনস্বার্থ রক্ষা হবে না,
উল্টো পুলিশ কমিশনের নামে জনগণের অর্থ অকারণে অপচয় হবে।