সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দেশের বহু অঞ্চলে সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। জান্তাবিরোধী শক্তি (রাজনৈতিক দল ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী) যতটা ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে বলে দাবি করছে, বাস্তবে সেটি ততটা নয়। তবে এটিও পরিষ্কার, কোনোভাবেই ‘দেশব্যাপী’ আসন্ন নির্বাচন হবে না। অনেকেই এটিকে পাতানো নির্বাচন বলেই খারিজ করে দেবেন; কিন্তু নেপিদোর জেনারেলদের কাছে এটা কোনো ভাবনার বিষয়ই নয়। নির্মম বাস্তবতা হলো ১৯৬২ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে যেকোনোভাবেই হোক, সেনাশাসন চলে আসছে। এবারও তা কোনো না কোনোভাবে বহাল থাকবে।
২০১১ সালে সীমিত কিছু স্বাধীনতা চালুর পর পরবর্তী এক দশক মিয়ানমারে খানিকটা খোলামেলা পরিবেশ ছিল। তবে জেনারেলরা কখনোই প্রকৃত অর্থে ক্ষমতা ছাড়েননি। তাঁরা সব সময়ই অদৃশ্য প্রভাব ধরে রেখেছিলেন। সেনাবান্ধব সংবিধান সব সময় তাদের সুরক্ষা দিয়েছে। হুমকি দেখা দিলেই তারা হস্তক্ষেপের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। ২০২১ সালের অভ্যুত্থান তারই প্রমাণ।