পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঈদ-পয়লা বৈশাখের ছুটি বাড়িতে কাটিয়ে গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়েছিলেন শান্ত। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শান্তর সহপাঠীরা তাঁর বড় ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা কৌশিক সাহার মুঠোফোনে মৃত্যুর খবর জানান। তিন ভাইয়ের মধ্যে শান্ত ছোট। তাঁর মেজ ভাই ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আজ সকালে বাড়িতে লাশ পৌঁছার পর বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন শান্তর মা শিউলি সাহা। বুকে-কপালে চাপরাচ্ছেন, আর কান্না করছেন। আহাজারি করে বলছেন, ‘আমার সোনার চাক্কা আর নাই, আমিও আর বাঁচতে চাই না। পোলা ইঞ্জিনিয়ার হইয়া বিদেশে যাইব। আমারে কইছিল, “মাগো, তোমারে বিদেশে নিয়া গিয়া চিকিৎসা করামু।” আমার ইঞ্জিনিয়ার পুতে গেল কই? আমারে কে বিদেশ নিয়া যাইব? আমার পোলারে আইন্যা দেও তোমরা।’ শান্তর লাশ দেখে স্বজন ও প্রতিবেশীরাও কাঁদতে শুরু করেন। এ সময় তাঁরা শিউলি সাহাকে সান্ত্বনা দেন।