সরকার মানে এখানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বর্তমান গভর্নর ফজলে কবিরের মেয়াদ আরও তিন সপ্তাহ বাকি থাকতেই আজ শনিবার ছুটির দিনে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বাদশ গভর্নর নিয়োগ দিয়েছে বর্তমান অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদারকে। অর্থসচিবের চাকরি আছে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত। বর্তমান চাকরি থেকে অগ্রিম অবসরে গিয়ে আগামী ৪ জুলাই তাঁকে গভর্নর পদে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের মুদ্রা সরবরাহ কত হবে, টাকার মান কতটা বাড়বে, মূল্যস্ফীতির হার কত রাখা হবে, এ সবই ঠিক করেন গভর্নর। দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনযাপনের মান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তাঁর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মূল ব্যক্তি তাই কীভাবে নিয়োগ পাবেন, কী যোগ্যতাই-বা থাকতে হবে তাঁর, তা প্রায় সব দেশই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।
বেশির ভাগ দেশে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকলেও আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থাপনা ও ব্যাংকিংয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেই বেছে নেওয়া হয়। কোনো দেশই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পদের জন্য রাজনৈতিক পরিচয় বা সমর্থনকে খুব বেশি গুরুত্ব দেয় না, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাকেই বিবেচনা করা হয়।
স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ১২ জন গভর্নর নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তাঁদের বেশির ভাগই আমলা। প্রথম গভর্নর ছিলেন আ ন ম হামিদুল্লাহ। আ ন ম হামিদুল্লাহ (১৯৭২-৭৪) ছিলেন একজন ব্যাংকার। গভর্নর হওয়ার আগে পাকিস্তানের ইস্টার্ন ব্যাংকিং করপোরেশনের (পরে এটি উত্তরা ব্যাংক হয়েছে) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।