ঈদের আগের দিনও আকাশপথে গ্রামের বাড়ি যেতে দেখা যাচ্ছে লোকজনকে। শুক্রবার (৬ জুন) সকাল থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীন টার্মিনালে যাত্রীদের ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। যথাসময়ে রাজশাহী, সৈয়দপুর এবং চট্রগ্রাম রুটের ফ্লাইট ছেড়ে যাচ্ছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তিনটি রুটে স্বাভাবিকের চাইতে অতিরিক্ত ফ্লাইট চালু করেছে। এছাড়া অন্যান্য বেসরকারি এয়ারলাইন্স তাদের স্বাভাবিক ফ্লাইটই রেখেছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ কর্মকর্তা রওশন কবীর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা, ঢাকা-সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে ফ্লাইট বাড়ানো হয়েছে। ২, ৫ ও ৭ জুন রাজশাহীর রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট রয়েছে। এর মধ্যে ২ ও ৫ তারিখ শেষ হয়েছে। ঈদের দিনও চলবে বিশেষ ফ্লাইট। এছাড়াও সৈয়দপুর রুটে ২ ও ৬ তারিখ পরিচালনা করা হয় অতিরিক্ত ফ্লাইট। আজ স্বাভাবিক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এছাড়া কক্সবাজার রুটে ৯ তারিখ বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।’
তিনি বলেন, ‘টিকিট রয়েছে। অতিরিক্ত মূল্যও নেই। আমাদের ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ, হটলাইন, বিকাশ কিংবা ক্রেডিট কার্ডে টিকিট কিনে মূল্য পরিশোধ করলে আমরা শতকরা ১০ ভাগ ডিসকাউন্ট দেই।’
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আগের মতো ফ্লাইট রেখেছি।’
তিনি বলেন, ‘লম্বা ছুটি, অনেক আগেই স্কুল কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া সড়ক এবং রেলপথও উন্নত হয়েছে। এ কারণে যাত্রী কমে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিকিটের দাম আগের অবস্থায় রয়েছে। টিকিটও রয়েছে।’
কথা হয় নভোএয়ারের সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মেসবাউল হকের সঙ্গে। তিনিও বলেন, ‘নভোএয়ারের ফ্লাইট সংখ্যা আগের মতনই রয়েছে।’
এদিকে ডমেস্টিক দেখা যায়, যাত্রীরা আসছেন, নিজেদের গন্তব্য যাচ্ছেন। ঈদের আগের দিন হলেও যারা কর্মব্যস্ততার কারণে আজকের টিকিট কেটেছেন, তারাই আসছেন।
রাজশাহীগামী যাত্রী মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, ‘ঈদে আমাদের উত্তরের রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম থাকে। এবারও ঈদে যারা গেছেন অনেকেরই সময় লেগেছে ১০/১২ ঘণ্টা। যেখানে লাগার কথা ৫ ঘণ্টা।’
তিনি বলেন, ‘অফিসের কাজ ছিল। এ কারণে আজ বাড়ি যাচ্ছি। আর আগে থেকে টিকিট কেটে রেখেছিলাম।’