ছাত্র-জনতার প্রবল গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও ছোট বোন শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীর আয়কর নথি জব্দের পর তা পরখ করে নানা অসঙ্গতি ও মিথ্যা তথ্যের অকাট্য প্রমান পেয়েছে দুর্নীতিবিরোধী রাষ্ট্রীয় একমাত্র সংস্থা দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সংস্থাটি এর আগে চলতি বছরের ৪ জুন যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীর ১৩ বছরের আয়কর নথি জব্দ করে। দুদক সুত্র জানায়, টিউলিপের নামে ২০০৬-০৭ করবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত দাখিল করা রিটার্ন ও সংশ্লিষ্ট নথি সংযুক্ত রয়েছে জব্দ করা আয়কর নথিতে। এরপর তিনি আর রিটার্ন দাখিল করেননি বলে দুদক জানতে পেরেছে। সুত্র মতে, গত ছয় বছর ধরে কোন আয়কর রিটার্ন দেন না টিউলিফ।

সুত্র মতে, জব্দ করা আয়কর নথিতে টিউলিপের নাম কোথাও রিজওয়ানা সিদ্দিক, কোথাও রিজওয়ানা সিদ্দিক টিউলিপ, আবার কোথাও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক লেখা হয়েছে। সইগুলোও সব মেলে না, মনে হয় ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির হাতের লেখা। আবার নামের বানানের সঙ্গে কোনো কোনো সইয়ে লেখা বানানেও অসঙ্গতি দেখা যায়। যুক্তরাজ্য সরকারের খাতায় টিউলিপের নাম টিউলিপ সিদ্দিক। ব্রিটিশ সরকারি দলিলে তার যে সই দেখা যায়, তার সঙ্গে দুদকের জব্দ করা আয়কর নথির স্বাক্ষরের মিল নেই। তবে বাবার নাম শফিক আহমেদ সিদ্দিক, মায়ের নাম শেখ রেহানা, জন্ম তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সঠিকভাবেই আছে। আর আয়কর নথির ছবিও টিউলিপের।

জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, রিজওয়ানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার তদন্তকালীন দালিলিক প্রমাণ সংগ্রহের অংশ হিসেবে অভিযুক্তের যেকোনো নথিপত্র তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজন মনে করলে জব্দ করতে পারেন। সেই প্রেক্ষিতে তার আয়কর নথিও জব্দ করা হয়েছে। এসব নথি বিশ্লেষণ করে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন, যা কমিশনের অনুমোদনের পর আদালতে বিচারের জন্য দাখিল করা হবে।

সুত্র বলছে, টিউলিপের আয়কর নথি পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পেরেছে, তিনি ২০০৬-০৭ করবর্ষে প্রথম আয়কর নথি খুলেছেন এবং ২০১৮-১৯ করবর্ষ পর্যন্ত নিয়মিত রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০১৮-১৯ করবর্ষের পর আর রিটার্ন দাখিল করেননি। মোট ৮৭টি পৃষ্ঠার এসব নথির মধ্যে ২০০৬-১৫ করবর্ষ পর্যন্ত প্রতিটি রিটার্নে অ্যাডভান্স টুওয়ার্ডস ডেভেলপার্স শিরোনামে ৫ লাখ টাকা ব্যয়ের তথ্য রয়েছে।

দুদক তদন্ত করে বলছে, টিউলিপ ঢাকার গুলশানে তার ফ্ল্যাট থাকার বিষয়টি আয়কর নথিতে গোপন করে আবাসন কোম্পানিকে অগ্রিম অর্থ পরিশোধের তথ্য দিয়েছেন। যদিও ২০০২ সালের ৩০ অক্টোবরের সাফ কবলা দলিল নম্বর-১৪০৭১ অনুযায়ী, গুলশান সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নিবন্ধন করা ফ্ল্যাটটির মালিক হিসেবে ভোগদখলে ছিলেন তিনি।

আয়কর নথিতে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫-১৬ করবর্ষে টিউলিপ তার গুলশানের ফ্ল্যাটটি (বি/২০১, প্লট নং এনই(এ-১১বি) ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীকে হেবা (দান বা উপহারের দলিল) করেছেন। রিটার্নে দাখিল করা হেবা দলিল (রেজিস্ট্রেশন নম্বর-০১, তারিখ: ২১/০৬/২০১৫) এর ফটোকপি পর্যালোচনা করে দুদক দেখেছে, দলিলটি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে প্রত্যয়িত। কিন্তু ২০০৪ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন অনুযায়ী, কোনো স্থাবর সম্পত্তি নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য নয়। এই হস্তান্তর অবশ্যই সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিবন্ধিত হতে হয়।

তদন্তের বরাতে দুদক বলেছে, ওই হেবা দলিলের নোটারি পাবলিক হিসেবে প্রত্যয়নকারী দেখানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট গাজী সিরাজুল ইসলামকে। কিন্তু তিনি দুদককে বলেছেন, দলিলে যে স্বাক্ষর রয়েছে তা তার নয়। তিনি ২০১২ সালে নোটারি পাবলিক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন এবং কোনো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নোটারি কাজ করেন না। সুতরাং, ফ্ল্যাটটি অবৈধ উপায়ে অর্জিত বলেই টিউলিপ তা আয়কর নথিতে গোপন রেখেছেন এবং আবাসন কোম্পানিকে অগ্রিম টাকা দেওয়ার মিথ্যা তথ্য দেখিয়ে ফ্ল্যাটটি বোনের নামে হস্তান্তরের অপচেষ্টা করেছেন বলে দুদক মনে করছে।

দুদক বলছে, গুলশানের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে চলতি বছরের মে মাসের ২৪ তারিখের স্মারক (নম্বর-২৯৮) অনুযায়ী, রিজওয়ানা সিদ্দিকের নামে গুলশান কার্যালয়ে কোনো নামজারি হোল্ডিং বা জমি খুঁজে পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ, তিনি সাফ কবলা দলিল নম্বর-১৪০৭১ অনুসারে মালিক হলেও ফ্ল্যাটটি তখনো নামজারি করেননি।

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ভারতে পালিয়ে যান ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বোন রেহানাও সেদিন তার সঙ্গে যান। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচলে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৩ এপ্রিল শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

এছাড়া গুলশানে একটি প্লট অবৈধভাবে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করিয়ে দিয়ে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের কাছ থেকে ‘ঘুষ’ হিসেবে একটি ফ্ল্যাট নেওয়ার অভিযোগে টিউলিপের বিরুদ্ধে ১৫ এপ্রিল মামলা করে দুদক। এ মামলা তদন্তের জন্য দুদক তার আয়কর নথি জব্দ করে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড থেকে ৭১ নম্বর রোডের ফ্ল্যাটটি কোনো টাকা পরিশোধ না করেই তিনি নিয়েছেন। এ মামলায় রাজউকের দুই কর্মকর্তাকেও আসামি করা হয়েছে, যারা রেজিস্ট্রির মাধ্যমে মালিকানা গ্রহণে টিউলিপকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।

ঢাকায় ফ্ল্যাট ও প্লটে অনিয়ম এবং প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের খাতায় নাম আসা টিউলিপের বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান ২ নম্বরের এ ফ্ল্যাটের অভিযোগের অনুসন্ধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ওই প্লটের হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকে। চলতি বছর এপ্রিলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে টিউলিপ বাংলাদেশে তার একটি ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টকে অসত্য তথ্য দিয়েছেন কি না, সেই প্রশ্ন তোলা হয়। সে সময় গুলশানের ওই অ্যাপার্টমেন্ট নিয়ে এই লেবার এমপির বিরুদ্ধে বাংলাদেশেও তদন্ত করছিল দুদক।

৪২ বছর বয়সী টিউলিপ তখন কোনো ধরনের অনিয়মের কথা অস্বীকার করেন। ডেইলি মেইলকে তিনি বলেন, ২০০২ সালে বাবা-মায়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে তিনি ওই ফ্ল্যাট পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বৈধভাবে তিনি ছোট বোন আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীর কাছে হস্তান্তর করেন। ২০১৫ সালের জুনে ওয়েস্টমিনস্টারে এমপিদের জমা দেওয়া সম্পদের হিসাবে বলা হয়েছিল, পরিবারের একজনের সঙ্গে যৌথভাবে ওই সম্পত্তির মালিকানায় আছেন টিউলিপ। পরের মাসেই ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা হস্তান্তর করার কথা বলা হয় সেখানে। কিন্তু ডেইলি মেইল বলেছে, ঢাকার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধান চালিয়ে তারা ভিন্ন তথ্য পেয়েছে। সেখানে সংরক্ষিত নথি বলছে, টিউলিপ এখনো ওই ফ্ল্যাটের মালিক, যা দুদকের অভিযোগের সঙ্গেও মিলে যায়।

গত ১০ মার্চ দুদকের তরফ থেকে বলা হয়, টিউলিপ তার বোনকে গুলশানের ওই ফ্ল্যাট হস্তান্তরে যে নোটারি ব্যবহার করেছেন, তদন্তে তা ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। দলিল অনুযায়ী, ২৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকায় কেনা গুলশানের ফ্ল্যাটটি আজমিনা সিদ্দিককে দেওয়া হয়। দলিলে ফ্ল্যাটের সম্পূর্ণ মালিকানা, স্বত্ব, অধিকার ও একটি পার্কিং স্পেস হস্তান্তরের কথা বলা রয়েছে। তার আগে আবদুল মোতালিফ নামের একটি আবাসন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টিউলিপের ‘বিনে পয়সায়’ সেন্ট্রাল লন্ডনে একটি অ্যাপার্টমেন্ট পাওয়ার খবর আসে ব্রিটিশ সংবাদমাধমে। ওই আবাসন ব্যবসায়ীর সঙ্গে টিউলিপের খালা, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগসূত্র থাকার খবরও দেয় সংবাদমাধ্যমটি।

সম্পত্তি নিবন্ধকের দপ্তরের এক নথির বরাত দিয়ে জানুয়ারির প্রথম দিকে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে লিখেছিল, লেবার সরকারের আর্থিক সেবাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ ২০০৪ সালে কিংস ক্রসের কাছে দুই বেডরুমের ওই ফ্ল্যাট বুঝে নেন এবং সেজন্য তাকে কোনো অর্থ দিতে হয়নি।

টিউলিপ যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনের এমপি। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সমালোচনার মধ্যে জানুয়ারিতে তিনি যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। শেখ হাসিনা এবং তার ছেলে, বোন ও ভাগ্নির বিরুদ্ধে কী ধরনের দুর্নীতির তথ্য দুদকের হাতে এসেছে, তার একটি ধারণা গত ডিসেম্বরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক সারসংক্ষেপে দেওয়া হয়। দুদকের বরাত দিয়ে ওই সারসংক্ষেপে বলা হয়, বিভিন্ন উন্মুক্ত সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক অনিয়ম হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রকল্পে দুর্নীতি ও প্লট-সম্পদ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে নাম আসার প্রেক্ষাপটে টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে হয়রানিমূলক প্রচারণার অভিযোগ আনেন। তিনি ও তার আইনজীবী বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের অভিযোগগুলোকে ভুয়া দাবি করেন।

এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ পোস্ট দিয়ে আইন মেনে চলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কথা তুলে ধরে টিউলিপ লেখেন, যেখানে জন্মেছি এবং যেখানে আমি একজন সংসদ সদস্য, সেই যুক্তরাজ্যে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনে বিশ্বাস করি।

তবে টিউলিপের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, টিউলিপ আমাদের তিনটি মামলায় অভিযুক্ত এবং আরও একটি অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশে একটি মাছের খামার থেকে ৯ লাখ টাকা আয় করেছিলেন। যেহেতু এটি তার আয়কর রিটার্নে উল্লেখ রয়েছে, তাই তিনি যতই বলুন না কেন, আমি ব্রিটিশ নাগরিক, কাগজপত্র অনুযায়ী তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। কখনো ব্রিটিশ, কখনো বাংলাদেশি পরিচয় নেওয়া-এটা প্রশ্নবিদ্ধ।

জব্দ করা আয়কর নথিতে বাংলাদেশে টিউলিপের ব্যবসা পরিচালনার তথ্য পাওয়ার কথা বলছে দুদক। ২০১৩-১৪ করবর্ষে মৎস্য খামার থেকে ৯ লাখ টাকা আয়ের তথ্য আয়কর নথিতে দেখানো হয়েছে। সে সময় মাছের খামার থেকে আয় দেখালে কর ছাড় পাওয়া যেত। নথিতে ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা নিট লাভ দেখানো হয়েছে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৪০০, ২০০৮-০৯ সালে ২ লাখ ১৫ হাজার, ২০০৯-১০ অর্থবছরে ২ লাখ ২০ হাজার, ২০১০-১১ অর্থবছরে ২ লাখ ১৬ হাজার, ২০১১-১২ অর্থবছরে ২ লাখ ৪০ হাজার, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার এবং ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিট লাভের তথ্য দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নিট লাভ ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া ২০০৬-০৭ অর্থবছরের আয়কর নথিতে দাদার কাছ থেকে ১০ তোলা স্বর্ণ উপহার হিসেবে পাওয়ার তথ্য রয়েছে, সেগুলোর দাম দেখানো হয়েছে ১ লাখ টাকা। ২০১২-১৩ সালে স্বর্ণের পরিমাণ বেড়ে হয় ৩০ তোলা, যদিও দাম একই দেখানো হয়েছে।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews