ট্রানজিট হলো একটি দেশ নিজেদের পণ্য ও যাত্রী অপর কোনো দেশের ভুখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে বা নিজের দেশের অপর একটি ভূখণ্ডে পরিবহন করার সুবিধা। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝানো যেতে পারে। ধরা যাক, ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিল বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে ভারতের কলকাতা থেকে পণ্যবাহী একটি ট্রাক বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত হয়ে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় গেল—এটাই ট্রানজিট সুবিধা। একইভাবে ভারতের পণ্যের একটি চালান বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে মিয়ানমার গেল। সেটিও ট্রানজিট সুবিধা। এখানে ভারত তৃতীয় দেশে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রানজিট সুবিধা নিয়েছে।
এই ট্রানজিট সুবিধা শুধু স্থলপথে হবে, তা নয়। স্থল, নৌ ও আকাশপথ—বহুমাত্রিক ট্রানজিট হতে পারে। যেমন দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান নৌ প্রটোকলের আওতায় বাংলাদেশের নৌ ও স্থলপথ ব্যবহার করে ভারতের পণ্যের চালান আগরতলা যায়। এখানে কলকাতা থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে; পরে আশুগঞ্জ থেকে সড়কপথে আখাউড়া হয়ে আগরতলা যায়।
সম্প্রতি ভারত বাংলাদেশকে দেওয়া যে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে, সেটাও বহুমাত্রিক ট্রানজিট সুবিধা ছিল। বাংলাদেশ থেকে পণ্যের চালান স্থলপথে ভারতের সীমান্তে প্রবেশ করে কলকাতা ও দিল্লির বিমানবন্দর পর্যন্ত যেত। তারপর আকাশপথে বাংলাদেশের পণ্যের চালান তৃতীয় কোনো দেশে চলে যেত।