ছোটন কাকা। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই আলোচিত ব্যক্তি ছোটন কাকা। কিন্তু কেন এই আলোচনা? শীত মৌসুমে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম আর ট্রলে সামনে চলে আসেন যিনি, তিনি হলেন ছোটন কাকা। ৫ বছর আগে, অর্থাৎ ২০১৬ সালে ছোটন কাকার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে।
সেই ভিডিওতে সে সময়ের চলমান শৈত্যপ্রবাহ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দেন ছোটন কাকা। ৫ বছর আগে ভাইরাল হওয়া ছোটন কাকাকে এখনও ভোলেনি নেটিজেনরা। শীত যতই বাড়ে যেন ততই এই লোকটার কথা ততই মনে পড়ে। এতো দীর্ঘ সময় অপরিচিত ভাইরাল কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় থাকেননি হয়তো।
প্রতিক্রিয়ার মাঝে আঞ্চলিক শব্দ প্রয়োগ করেন। যেটা দেশে অন্যান্য অঞ্চলে গালি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। কথায় রয়েছে কোনো অঞ্চলের বুলি, সেটাই আবার অন্য অঞ্চলের গালি। ছোটন কাকার ক্ষেত্রে তেমন ঘটনাই ঘটেছে। ভিডিওটি হুহু করে ছড়াতে থাকে। চার থেকে পাঁচ বছর পরেও সে ভিডিও শেয়ার করে মজা পান নেটিজেনরা।
যাকে নিয়ে এতো কাণ্ড। মানে ছোটন কাকা আসলে কে? তার আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন ছোটন কাকা হিসেবে পরিচিত মানুষুটির আসল নাম কি!
ছোটনকাকার আসল নাম নাম মো. শামসুল আলম। কুষ্টিয়া শহরে নিজের একটি সিমেন্ট ও ঢেউটিনের ব্যবসা রয়েছে। শহরের পৌরসভার সামনেই, মজমপুর গেটে দোকান।
বলা যায় সিমেন্টের ছোটখাটও ডিলারশিপের ব্যবসা। বাসা কুষ্টিয়া পৌর শহর থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গড়াই নদীর তীরে হরিপুর গ্রামে। খুব সাদামাটা জীবনযাপনে তেমন কোনোবৈচিত্রতা নেই। মো. শামসুল হকের ভিডিওটি ভাইরাল হবার পরে ইউটিউবাররা তার তাকে খুঁজে পেয়ে যায়। অবশেষে মজমপুর গেটে একে ভিড় বাড়তে থাকে। ২০১৬ সাল থেকে ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে ছোটন কাকা অর্থাৎ মো. শামসুল হকের নানা বক্তব্য প্রকাশ হতে থাকে। ভিডিও ক্রিয়েটররা তার দোকানে-বাড়িতে ভিড় করলেও তিনি কখনো বিরক্ত হননি। বরং কিছু ভিডিও ক্রিয়েটরের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয়ে যায়।
সম্প্রতি রাশেদুজ্জামান রাকিব নামের একজন ভিডিও ক্রিয়েটর ঢাকা থেকে দলবলসহ কুষ্টিয়ায় গিয়ে রীতিমতো পিকনিক করে এসেছেন। পুরো ঐ ভিডিওতে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে তরুণের দল তাঁর বাড়িতে যাওয়ায় ভীষণ খুশি তিনি। বাসায় পৌঁছানোর আগেই তরুণ দলটির জন্য পিঠাপুলি তৈরি শুরু করে দেন ছোটন কাকা অর্থাৎ শামসুল হকের স্ত্রী।
শামসুল হক সিমেন্ট ও ঢেউটিনের ব্যবসা করলেও তার কিছু কৃষিকাজও রয়েছে। যেমন পুকুরে মাছচাষ, ছোটখাটো গরুর খামার রয়েছে। গরু পালন করেন। গরুর দুধ বিক্রি করাও তার আয়ের একটি উৎস। খুবই শান্তিতে চলে যাওয়া জীবনে এক ভাইরাল ভিডিও এনে দিয়েছ্যে খানিকটা বৈচিত্রতা। সেটা অবশ্য উপভোগ করেন এখনো।
শামসুল আলম বলেন, 'এই ঘটনার পর যেখানেই যান সেখানেই ছবি তোলা আর সেলফি তোলার আবদার থাকে। অবশ্য এতে আমার কোনো খারাপ লাগে না। ভালোই লাগে আলহামদুলিল্লাহ।'