কিংবদন্তি ব্রিটিশ গায়ক স্যার এলটন জনের সঙ্গে একটি ডুয়েট গান 'হোল্ড মি ক্লোজার' প্রকাশের মধ্য দিয়ে মার্কিন পপ রাজকুমারী ব্রিটনি স্পিয়ার্স সংগীতাঙ্গনে ফিরে এসেছেন। 'হোল্ড মি ক্লোজার' এলটন জনের গাওয়া 'টিনি ড্যান্সার' [১৯৭১], 'দ্য ওয়ান' [১৯৯২] ও 'ডোন্ট গো ব্রেকিং মাই হার্ট'- গান তিনটির ম্যাশ আপ। দীর্ঘ ১৩ বছরের রক্ষণশীলতার আইনি জটিলতার অবসান ঘটিয়ে 'হোল্ড মি ক্লোজার' গানটির মাধ্যমে ব্রিটনি মুক্তমনে সংগীতে ফিরে এসেছেন। এটি তাঁর ২০১৬ সালের অ্যালবাম 'গ্লোরি'র পর গাওয়া প্রথম গান। 'হোল্ড মি ক্লোজার' শিরোনামে নতুন এই সংস্করণটি এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৩৫টি দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। দীর্ঘ বিরতি ভেঙে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের আবার সংগীতে ফিরে আসাকে বিশ্বজুড়ে তাঁর অসংখ্য ভক্ত স্বাগত জানিয়েছেন। গানটির সাফল্যের পর এলটন জন তো ব্রিটনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, 'ব্রিটনির সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি একেবারে রোমাঞ্চিত। তিনি সত্যিই একজন আইকন, সর্বকালের সেরা পপ-তারকাদের একজন। হোল্ড মি ক্লোজার ট্র্যাকটি আমার পুরোনো তিনটি গানের ম্যাশ আপ। ব্রিটনির কণ্ঠের মাদকতা এতে নতুন মাত্রা দিয়েছে। আমরা একসঙ্গে যা তৈরি করেছি, তাতে আনন্দিত।' গানটি শুরু হয় এলটন জন ও ব্রিটনি স্পিয়ার্সের দ্বৈতভাবে কণ্ঠদানের মধ্য দিয়ে। প্রথমে তাঁরা 'দ্য ওয়ান'-এর শুরুর গান গেয়েছেন। গানের কথা এ রকম- 'আমি তোমাকে সমুদ্রের বাইরে নাচতে দেখেছি/ বালি ধরে দ্রুত দৌড়াচ্ছে/ পৃথিবী এবং জল থেকে জন্ম নেওয়া একটি আত্মা/ তোমার হাতে আগুন উড়ছে (ওহ)।' এরপর এটি নির্বিঘ্নে 'টিনি ড্যান্সার'-এ চলে যায়- 'আমাকে কাছে ধরো ক্ষুদ্র নর্তকী/ হাইওয়েতে হেডলাইটগুলো গণনা করো/ আমাকে লিনেনের চাদরে শুইয়ে দাও/ আজ তোমার একটি ব্যস্ত দিন।'

বিগত বছরগুলো ব্র্রিটনির সংগীতজীবনকে পেছনে ফেলে দেয়। ওই সময়ে তিনি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে ছিলেন বিপর্যস্ত। ব্রিটনির ব্যবসা ও ব্যক্তিগত জীবনের সমস্ত দিক তাঁর বাবার নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ জন্য রক্ষণশীলতার সঙ্গে তাঁকে আইনি লড়াই করতে হয়েছে। সংগীতজগৎ থেকে একপ্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু হোল্ড মি ক্লোজার ব্রিটনিকে সংগীতে নিজেকে আবার খুঁজে পাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। গানটি প্রকাশের পর শ্রোতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি নতুন করে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন। তাঁর অনুভূতিতে প্রবলভাবে নাড়া দিচ্ছে যে তিনি তাঁর কণ্ঠের ক্ষমতা এতটুকু হারাননি। হোল্ড মি ক্লোজার ট্র্যাকটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো- ব্রিটনির কণ্ঠের মাধুর্য আগের মতোই সাবলীল; স্বাতন্ত্র্যসূচক, ডিনামাইট টোন, যা তাঁকে এমন একটি অপ্রতিরোধ্য রেকর্ডিং শিল্পী করে তোলে, যা কেবল উন্নতই হয়েছে। তাঁর কণ্ঠ অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের ওপর সূর্যের প্রতিফলনের মতো শোনাচ্ছে। এতে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন।
ব্রিটনি স্পিয়ার্স ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে টিন পপ গানকে পুনরুজ্জীবিত করতে ভূমিকা রাখেন। তিনি সর্বকালের সর্বোচ্চ অ্যালবাম বিক্রি হওয়া গায়িকা। তাঁকে পপ আইকন হিসেবে অভিহিত করা হয়। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ব্রিটনি স্পিয়ার্স অসংখ্য পুরস্কার ও প্রশংসা অর্জন করেছেন।





Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews