তরুণ উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রসৈনিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক। তিনি বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষক, উদ্ভাবকদের সম্পৃক্ত করে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ও এন্টারপ্রেনার সাপ্লাইচেইন তৈরির মাধ্যমে তরুণদের আত্মনির্ভরশীল করতে আইসিটি বিভাগ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। প্রতিমন্ত্রী গতকাল বুধবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২১’ উপলক্ষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মকে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবক হতে অনুপ্রাণিত ও সম্পৃক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা গেছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৭টি দেশ থেকে সাত হাজারের বেশি স্টার্টআপ বা ইনোভেটর ইনোভেশন গ্র্যান্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে বলে তিনি জানান। পলক বলেন, দেশে সাড়ে ছয় লাখের বেশি আইটি ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করছে। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে স্টার্টআপ বাংলাদেশ কম্পানি লিমিটেড থেকে ৫০টি স্টার্টআপের মাঝে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্টের প্রথম পুরস্কার এক লাখ ডলার অনুদান দেওয়া হবে। তাদের যেন উদ্ভাবনী কাজে বিনিয়োগ ও অর্থায়ন নিয়ে চিন্তা করতে না হয়। বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০টি স্টার্টআপ নির্বাচিত হয়েছে। তাদের ১০ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি বিষয়ে বেসিক নলেজ বা মৌলিক ধারণা প্রদানের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর সোনার মানুষে পরিণত করতে দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তরুণরা যেন এলাকাই বসেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে সে লক্ষ্যে দেশে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।