ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সঠিক খাদ্য নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরি, কারণ অনেক ফলে প্রাকৃতিক চিনি থাকলেও কিছু ফল রয়েছে যেগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। নিচে এমনই তিনটি ফল তুলে ধরা হলো, যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ ও উপকারী:
১. আপেল
আপেল ফাইবারে ভরপুর, বিশেষ করে এতে থাকা পেকটিন নামক দ্রবণীয় আঁশ হজম প্রক্রিয়া ধীরে করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেয় না। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও হজমে সহায়তা করে।
২. বেরি জাতীয় ফল
স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি বা ব্ল্যাকবেরির মতো বেরি জাতীয় ফলগুলিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার। এদের প্রাকৃতিক চিনি অনেক কম এবং এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতেও সহায়ক। এছাড়া, এগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৩. পেয়ারা
পেয়ারা একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ও লো-গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত ফল, যার প্রাকৃতিক চিনি অনেক কম। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পেয়ারা হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও উপকারে আসে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফল খাওয়ার পরামর্শ:
প্রতিদিন ফল খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে নজর রাখা জরুরি। অতিরিক্ত খেলেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
ফলের রস এড়িয়ে চলা উত্তম, কারণ এতে ফাইবার অনেক কমে যায় এবং প্রাকৃতিক শর্করা দ্রুত রক্তে মিশে যায়।
আসল ফল খান, ফ্রেশ ফল খান—এটাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম চাবিকাঠি।
সঠিক পরিমাণ ও সময় মেনে উপযুক্ত ফল নির্বাচন করলে ডায়াবেটিস রোগীরাও নিরাপদে ও স্বাস্থ্যকরভাবে ফল উপভোগ করতে পারেন। এই তিনটি ফল হতে পারে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকার স্বাস্থ্যকর সংযোজন।