প্লাস্টিক বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে দেশের নদনদী, খালবিল। অপচনশীল বর্জ্যে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী, খাল, বিলের তলদেশ। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খালের প্রবাহ, স্যুয়ারেজ লাইন। নদী ও খালের পাড় দখলেও ভূমিকা রাখছে নিষিদ্ধ পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। নদীর পাড়ের মাটি খুঁড়লে পাওয়া যাচ্ছে পুরনো পলিথিন। এতে মাটির উর্বরতা কমছে। দূষিত হচ্ছে পানি। এই প্লাস্টিক গুঁড়ো হয়ে খাদ্যচক্রের মাধ্যমে ঢুকছে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীর দেহে। এতে সৃষ্টি করছে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগ। আইন করে পলিথিন নিষিদ্ধ করার পরও বেড়ে চলেছে এর উৎপাদন ও ব্যবহার। বর্তমানে দেশে বছরে উৎপন্ন হচ্ছে ৮ লাখ ২১ হাজার টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য। এর মধ্যে ৪০ ভাগ পুনর্ব্যবহার হলেও ৬০ ভাগই ছড়িয়ে পড়ছে পরিবেশে। ২০০২ সালে পলিথিনের শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়। আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে। তাই এখনই দেশের নদনদীগুলোকে বাঁচানো দরকার।
মো. মুর্শিকুল আলম
গাজীপুর থেকে।