ছোটবেলা থেকেই একটা সংগঠন গড়ে তোলার কথা ভাবতেন শাওন মাহমুদ। যেখানে যে কেউ যেকোনো প্রশ্ন করতে পারবে। কোনো প্রশ্নকেই ‘অবান্তর’ ট্যাগ দেওয়া হবে না। বিজ্ঞানকে বুঝতে কৌতূহল মেটানো জরুরি। আর ‘গ্লোবাল কোলাবোরেশন’ এবং বিশ্বে টিকে থাকার জন্য বিজ্ঞানকে বোঝা জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষে ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’ নামে একটি সংগঠনের যাত্রা শুরু করেন শাওন। তৈরি করেন ছোট একটা দল, যেখানে সবাই শাওনের মতোই শিখতে ও শেখাতে ভালোবাসেন। বন্ধুদের জানান, মনের কোণে লুকিয়ে থাকা যেকোনো কৌতূহল যেন তারা এখানে জানায়। একেকটি প্রশ্ন দলের কাছে যেন নতুন কিছু নিয়ে পড়াশোনা করার একেকটি সুযোগ।
গবেষণাপত্র পড়ে ও শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রশ্নগুলো নিয়ে অনলাইন গ্রুপে আলোচনা করতেন তাঁরা। অল্প সময়েই বড় হয়ে ওঠে গ্রুপটি। বড় হয় দল। বাড়তে থাকে জনপ্রিয়তা। দেশ ও দেশের বাইরে থেকে ১০ লাখ মানুষ অনলাইনে যুক্ত হয় বিজ্ঞানপ্রিয় এই সংগঠনে। পর্যায়ক্রমে বাংলা ভাষার বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞানের নেটওয়ার্ক হয়ে ওঠে ‘বিজ্ঞানপ্রিয়’।
পাশাপাশি দেশ–বিদেশের বিজ্ঞানের গবেষণাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটা ডিজিটাল ক্রিয়েটিভ স্টুডিও তৈরি করেন শাওন মাহমুদ। ১টি ‘কেন’র উত্তর দিলে যে ১০টি ‘কেন’ জন্ম নেবে, সেগুলো অজানা নয় তাঁর। সবকিছু মাথায় রেখে নিখুঁত একেকটি কনটেন্ট তৈরি করে তাঁর দল। এখানেও জনপ্রিয়তা পায় বিজ্ঞানপ্রিয়। ছয় লাখ ফলোয়ার যুক্ত হয় তাঁর ফেসবুক পেজে। বাড়তে থাকে আগ্রহ। বাড়তে থাকে সচেতনতা।