রবীন্দ্রনাথের ভাবনার জগতকে অনেকখানি দখল করেছিল তার শিক্ষা সম্পর্কিত যৌক্তিক আলোচনা। সেখানে প্রাচীনকালের গুরুগৃহের শিক্ষা থেকে আধুনিক সময়ের ইংরেজী শিক্ষা, সামগ্রিক অর্থে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চার বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্ব পায়। এছাড়া প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও বিশেষভাবে স্পষ্ট হয়। শৈশব থেকে বাল্যকাল, কিশোর বয়সের পর যৌবনের বিরাট কালপর্বে শিক্ষার যথাযথ ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সুবিদিত। ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল, ইউরোপীয় সংস্কৃতির অবাধ বিস্তার, ইংরেজী ভাষার অযৌক্তিক প্রয়োগে মাতৃভাষার প্রতি উদাসীনতা কবিকে ব্যথিত এবং উদ্বিগ্ন করে। শুধু তাই নয়, আপন বৈশিষ্ট্যের নিজস্ব ধারার বিচ্যুতির শঙ্কায় তাকে ভাবিয়েও তোলে। ছোট বয়সে তার নিজের জীবনের শিক্ষার সূচনা কবির জন্য সুখকর কিংবা আনন্দদায়ক ছিল না। গৎবাঁধা জ্ঞানচর্চার বদ্ধ পরিবেশে আন্দামান দ্বীপে আটকে থাকাটাই যেন ছিল শৈশবকালের শিক্ষা পাঠক্রম। জোর করে ইংরেজী ভাষার প্রতি উদ্বুদ্ধ করা, যাকে কবি মনে করতেন না বুঝে মুখস্থ করা সব মিলিয়ে তার বাল্যকালীন বিদ্যাশিক্ষা যেন এক বিভীষিকাময় আলয়। জীবনস্মৃতিতে এমন সব বিব্রতকর পরিস্থিতির কথা উল্লেখ আছে।
ঠাকুরবাড়িতে মাতৃভাষার চর্চা ছিল সবার আগে। কিন্তু ইংরেজী ভাষাকে সেভাবে উপেক্ষা কিংবা অবজ্ঞা করা হয়নি। বাল্যকালীন দুঃসহ স্মৃতি কবিকে এত তাড়িত করে যে, বিদ্যাশিক্ষায় মাতৃভাষার কোন বিকল্প নেই এ কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেন আমাদের। শিক্ষায় মাতৃভাষাই মাতৃদুগ্ধ। এর অভাবে শিক্ষা পরিপুষ্টি লাভ করে না, সর্বাঙ্গীণ হয় না। সর্বোপরি প্রতিদিনের কর্মপ্রবাহে এ শিক্ষা সুফলও বয়ে আনে না। কবির মতে পদ্মা নদীর তীরে বসে আমরা যদি টেমস নদীর স্নিগ্ধ জলরাশির অপার সৌন্দর্য অবগাহন করি নদীবিধৌত বাংলার নদীই আমাদের কাছে দুর্বোধ্য হয়ে যাবে। শ্যামল বাংলার নির্মল নৈসর্গিক সৌন্দর্য, নদ-নদীর অববাহিকার প্রাণবন্তু সজীব ছোঁয়া আমাদের যদি দোলা দিতে না পারে, নিজের ভাষায় তেমন অপরূপকে যদি অনুভবে আনা না যায় তাহলে আপন দেশের অপার মাধুর্য অধরাই থেকে যাবে। তখন ঔপনিবেশিক শৃঙ্খলে ভিনদেশী ভাষা বলতে ইংরেজীকেই বোঝানো হতো। ইংরেজী ভাষা, সাহিত্য আমাদের আনন্দ দেবে সন্দেহ নেই; কিন্তু বিদেশী ভাবসম্পদ তো নিজের দেশকেই চেনাবে না। ফলে না জানব নিজের দেশ, না বুঝব ভিনদেশী পরিবেশ আর সৌন্দর্য। আর তাই শিক্ষা হবে অসম্পূর্ণ, খণ্ডিত এবং প্রায়ই অপ্রয়োজনীয়। ‘শিক্ষা’ প্রবন্ধে কবির অভিব্যক্তি- ‘যখন আমরা একবার ভাল করিয়া ভাবিয়া দেখি যে, আমরা যেভাবে জীবন নির্বাহ করিব আমাদের শিক্ষা তার আনুপাতিক নহে, আমরা যে গৃহে আমৃত্যু বাস করিব সে গৃহের উন্নত চিত্র আমাদের পাঠ্যপুস্তক নহে, যে সমাজের মধ্যে আমাদের জীবনযাপন করিতে হইবে সেই সমাজের কোন উচ্চ আদর্শ আমাদের নতুন শিক্ষিত সাহিত্যের মধ্যে লাভ করি না, আমাদের পিতামাতা, আমাদের সুহৃদয় বন্ধু, আমাদের ভ্রাতা, ভগ্নিকে তাহার মধ্যে প্রত্যক্ষ করি না, আমাদের দৈনিক জীবনের কার্যকলাপ তাহার বর্ণনার মধ্যে স্থান পায় না। উভয়ের মাঝখানে একটা ব্যবধান থাকিবেই থাকিবে, আমাদের শিক্ষা, আমাদের জীবনের সমস্ত আবশ্যক অভাব পূরণ হইতে পারিবে না।’
সঙ্গত কারণে কবি মনে করতেন শিক্ষার সঙ্গে জীবনের নিবিড় সংযোগই নিজেদের স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে উদ্দীপ্ত করবে। শুধু ভাব প্রকাশ কিংবা সাহিত্য চর্চা নয়, প্রতিদিনের জীবন প্রবাহের আবশ্যিক কর্মের সঙ্গে শিক্ষার যদি গভীরতম সংযোগ তৈরি না হয় তাহলে জ্ঞানার্জনের যথার্থ সুফল কেউ পেতে পারে না। তার নিজের আদর্শিক চেতনা এবং উপলব্ধি থেকে শান্তিনিকেতনে তিনি শিক্ষার যে দ্বার উন্মোচন করলেন সেখানে সিংহভাগজুড়ে থাকল মাতৃভূমি এবং মাতৃভাষা, আপন প্রকৃতির বেড়াজাল, জীবন ঘনিষ্ঠ পাঠক্রম, স্বদেশীয় ঐতিহ্যিক ধারার মহাসম্মিলন। যাতে প্রাসঙ্গিক অর্থে নিজের সঙ্গে দেশকে জানা-বোঝার অতি আবশ্যিক সমস্ত আয়োজন। পাশাপাশি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হলো বিশ্ব পরিম-লের নতুন জ্ঞান, আধুনিক চিন্তা, বিজ্ঞান চেতনা, সৃষ্টিশীল উদ্যম আর এর মধ্যেই নিজেকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।
রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন মাতৃভাষায় যদি বিজ্ঞান চর্চা না হয় তাহলে প্রযুক্তিবিদ্যার আলোকিত জগৎ সর্বসাধারণের মাঝে দ্যুতি ছড়াবে না। দেশের আপামর জনগণের সার্বিক অংশগ্রহণ ছাড়া উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। গ্রামনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতির পুরো নিয়ন্ত্রক এবং চালিকাশক্তি এই হতদরিদ্র প্রজা সাধারণ। কৃষির পশ্চাৎপদ চাষাবাদ পদ্ধতি আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার সমন্বয় ঘটাতে ব্যর্থ হলে সার্বিক অর্থনীতিতে শুভ সূচনা হতে দেশ বারবার পিছনের দিকে চলে যাবে। আধুনিকতার নির্মাল্যকে সবার আয়ত্তে আনতে হলে নিরক্ষর, মূর্খ, মূঢ় এদেশের সিংহভাগ মানুষ মাতৃভাষায় বিজ্ঞান চর্চায় পারদর্শী করে তুলতে হবে। তা না হলে কৃষিতে নতুন অর্জন সুদূর পরাহত। তাই কবি বিজ্ঞানকে, সৃজনশীলতাকে, নতুন আবিষ্কারকে প্রতিটি মানুষের নিত্য কর্মযজ্ঞের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য করার তাগিদ অনুভব করেছেন বারবার। শুধু পুঁথিগত শিক্ষায় নয়, ব্যবহারিক কর্মযোগেও মাতৃভাষাকে অত্যধিক গুরুত্ব দেয়া সঙ্গত বলে মনে করতেন।
চীন, রাশিয়া, জাপানের মতো শিল্পোন্নত দেশগুলো ভ্রমণ করে তার এই বদ্ধমূল ধারণা আরও জোরালো হয়। এসব দেশ মাতৃভাষাকে অবলম্বন করে শুধু শিক্ষাকে নয়, প্রকৃতিকেও জয় করেছে, বিজ্ঞানকে নিজের আয়ত্তে এনেছে, শিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছে। সর্বোপরি কৃষি ব্যবস্থায় আধুনিকায়নের সমস্ত প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছে। ‘জাপানযাত্রী’ প্রবন্ধে পুত্র রথীন্দ্রনাথকে লেখা এক পত্রে কবি উল্লেখ করেন যে, ‘কিছুদিন আগেও এখানকার সাধারণ জনগোষ্ঠী আমাদের সমাজ থেকে অনেকখানি পিছিয়ে ছিল, অতি অল্প সময়ের মধ্যে কি করে তারা তাদের সমস্ত কূপম-ূকতা, হীনম্মন্যতা, জড়তা এবং অশুভ সংস্কারকে জয় করে নিজেদের আজকের এত বড় অর্জন এবং সম্মানের জায়গায় নিয়ে এসেছে। এসব দেশেও এক সময় প্রকৃতির অন্ধপূজা ছিল, বংশানুক্রমিকভাবে মানুষের জীবনযাত্রায় অসাড়তা ছিল। শক্তিহীনতা, দৌর্বল্য ছিল। কিন্তু তারা আত্মশক্তিতে জেগে ওঠে, মাতৃভাষার মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা করে নিজেদেরসহ পুরো দেশের মানোন্নয়ন ঘটিয়েছে। শুধু গুটিকয়েক স্বনামধন্য কিংবা শিক্ষিত মানুষের ভূমিকায় এই অসাধ্য সাধন হয়নি। সর্বসাধারণের সার্বিক অংশগ্রহণের সার্থক প্রয়াসের সুফল দেশ ও জাতি মিলিতভাবে ভোগ করছে।’
আর তাই মাতৃভাষার মাধ্যমে নিজেকে চেনা, দেশকে ভাবা, উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করা, বিজ্ঞানকে কর্মক্ষেত্রে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা- এসবের মধ্যেই দেশ এগিয়ে যায়, জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি আসে। সর্বোপরি ভেতরের ছাইচাপা আগুনের মতো অন্তর্নিহিত শক্তি পুরোদমে জ্বলে ওঠে। শিক্ষা মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য নয়। শিক্ষা সকলের মৌলিক অধিকার এবং সবাইকে তা অর্জন করতে হবে। নিজের মুখের ভাষায় সবকিছুকে আয়ত্তে নিয়ে আসা যত সহজ অন্যভাবে তা কঠিনও বটে।
প্রায়ই শতবর্ষ আগে রবীন্দ্রনাথের এই যৌক্তিক বাণী আজও আমরা সফলভাবে অর্জন করতে পারিনি। গ্রামে-গঞ্জে, দেশের সাধারণ মানুষের এখনও যথার্থভাবে মাতৃভাষাকে সর্বক্ষেত্রে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে শিক্ষার ক্ষেত্রে তো নয়ই। নানাভাবে বিদেশী ভাষার চর্চা ও অনুশীলনে নিজের ভাষার মান ততটা এগিয়ে যেতে পারছে না। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের ঐতিহ্য আমাদের জন্য মাইলফলক। সঙ্গত কারণে স্বাধীনতার যুদ্ধও আমাদের অনেক বড় প্রাপ্তি। কিন্তু যে ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য আমরা লড়াই করলাম, এত রক্ত ঝরালাম, লাখো প্রাণকে উৎসর্গ করতে হলো সেই ভাষা এবং সংস্কৃতিবোধ আজ কোন্্ অবস্থানে? প্রশ্ন থেকেই যায়। আমরা সত্যিই কি মাতৃভাষাকে তার যথার্থ জায়গা দিতে পেরেছি? মুষ্টিমেয় মানুষের মাতৃভাষা চর্চা আপামর জনগোষ্ঠীর মঙ্গল সাধনে যথেষ্ট নয়। দিনের পর দিন মাদ্রাসার সংখ্যা বেড়ে যাওয়াটা নিম্নবিত্ত সাধারণ মানুষের জীবন ও কর্মে মাতৃভাষার গুরুত্ব হাল্কা করে দিচ্ছে। আর উচ্চবিত্তের জন্য ইংরেজী মাধ্যম স্কুল-কলেজ তো আছেই। এদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। উচ্চ শিক্ষায় বিদেশী ভাষা আবশ্যক হলেও শৈশব বাল্যকাল থেকে জীবনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মাতৃভাষা চর্চা অপরিহার্য। তা না হলে নিজ দেশে পরবাসী হওয়ার যন্ত্রণা ভোগ করা ছাড়া আর কোন গত্যন্তরও থাকে না। তার ওপর বিদেশী চ্যানেলগুলো আমাদের ভাষা সংস্কৃতিতে যে বিজাতীয় আগ্রাসনের প্রভাব ফেলছে সেখানে আমাদের ভাষার নিরাপত্তা বেষ্টনী হুমকির মুখে পড়ছে। এ থেকে বের হয়ে আসার পথ নিজেকেই চিনে নিতে হবে। জ্ঞানী, গুণী ও বিজ্ঞজনদের পরামর্শ নেয়া ছাড়াও নিজেকেই স্বমর্যাদার পথ খুঁজে বের করা একান্ত আবশ্যক।
সমৃদ্ধির সর্বক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সফলতা নিয়ে আসা সম্পর্কে কবির ভাবনা যে কত আধুনিক, মাঙ্গলিক এবং বিজ্ঞানসুলভ ছিল তা আজও আমাদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। তার এই চিন্তা, মনন যে কত প্রাসঙ্গিক এবং অপরিহার্য তা সত্যিই বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন রবীন্দ্রনাথের বিদেশী ভাষার প্রতি কোন উপেক্ষা কিংবা অবজ্ঞা ছিল না। মায়ের ভাষাকে গুরুত্ব দিয়েছেন সর্বাধিক এটা যেমন ঠিক, পাশাপাশি বিদেশী ভাষা ও সাহিত্যকে নিজের আয়ত্তে আনাও ছিল কবিগুরুর এক অনন্য প্রত্যয় এবং পারদর্শিতা। বিশেষ করে ইংরেজী সাহিত্যের প্রতি দরদ, জানার আগ্রহ ঠাকুর বাড়ির সমৃদ্ধ পরিবেশে বেড়ে ওঠা কবির চিরদিনের। বাংলায় লেখা ‘গীতাঞ্জলী’কে কবি সযতেœ আন্তরিক অনুভূতিতে ‘সং অফারিংস’-এ নতুনরূপে, নবসৃষ্টিতে পরিপূর্ণ করেন। ইংরেজী ভাষায় রূপান্তর এই ‘সং অফারিংন্স’ই কবিকে নিয়ে গেছে বিশ্ব পরিসরের শ্রেষ্ঠ আসনে। ইউরোপব্যাপী আলোড়ন তোলে কবির এই ইংরেজী অলঙ্করণে সাজানো অনন্য গীতের অর্ঘ্য। গীতাঞ্জলিতে যদি ইংরেজী সাহিত্যের মূল ব্যঞ্জনা এবং নান্দনিক আবহ তৈরি না হতো তাহলে শুধু ইংরেজ কবি ইয়েটস কেন, নোবেল জুরি বোর্ডকেও কি মুগ্ধ করা যেত? শুধু কি বিশ্বজয়? সেদিন কবি বাংলা ও বাঙালীকে বিশ্বের দরবারে দাঁড় করিয়েছিলেন, চিনিয়ে দিয়েছিলেন সেখানেও তো তার মাতৃভাষার প্রতি অপার দরদ ফুটে ওঠে। এটাও অনেকের জানা ‘ঞযব পযরষফ’ কাব্যটি সম্ভবতঃ জার্মানিতে বসে কবি রচনা করেন। পরে তা বাংলায় রূপান্তরের বিষয়টিও বিমুগ্ধ হওয়ার মতো। শুধু ভাষা নয়, ভাব প্রকাশের নান্দনিক বোধেও কবি নিজেকে পূর্ণ করতেন, যা বঙ্কিম চন্দ্রের ‘বঙ্গদর্শনের’ ওপর রবীন্দ্রনাথের বহু যৌক্তিক আলোচনা ও পরামর্শ দেয়া আছে। প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রে মাতৃভাষায় শৈল্পিক অনুভব অনুভূতিও কবিকে বারবার আবেগে আপ্লুত করে। বঙ্গদর্শনের রস সম্ভোগ করার স্মৃতিও নানা মাত্রিকে বিহ্বল করে তুলত। যা ‘চোখের বালি’ উপন্যাসের ভূমিকাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। বালক বয়স (১১ বছর) থেকে ‘বঙ্গদর্শন’ পড়ার স্মৃতিবিজড়িত মুহূর্তগুলো স্মরণ চেতনায় উজ্জ্বল হয়েছিল। সময় সময় তা আলোর ঝলকানিতেও উদ্ভাসিত হয়ে উঠত।
লেখক : সাংবাদিক