ইরানের রাজধানী তেহরানসহ কয়েকটি কৌশলগত স্থানে গত শুক্রবার হামলা চালায় ইসরাইল। পাল্টা জবাব দেয় ইরানও। এর জের ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সেই সাথে নিজেদের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে পুরো মধ্যপ্রাচ্য।
তবে আল জাজিরা বলছে, ইরানের সাথে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরুর আগে থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মানুষরা আতঙ্কিত। প্রায় ২০ মাস ধরে গাজায় চলমান হত্যাকাণ্ড, লেবাননে ধ্বংসযজ্ঞ, সিরিয়ার আকাশে ইসরাইলের স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ, সামরিক আধিপত্য বিস্তার দেখে এ অঞ্চলের বাসিন্দারা তাদের ভবিষ্যত ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
এই অঞ্চলের সরকারগুলোও ইরানের সাথে ইসরাইলের যুদ্ধের সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে অবগত। ইরান-ইসরাইল যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি অংশগ্রহণ করে তবে এ যুদ্ধ খুব সহজে শেষ হবে না বলে মনে হচ্ছে।
ইসরাইল এই ধারণাকে পুঁজি করার চেষ্টা করছে- কেবল যুক্তরাষ্ট্রই দ্রুত এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন প্রেক্ষাপটের সূচনা করতে পারে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের পক্ষে একমাত্র তেল আবিবেরই সমর্থন রয়েছে। বাকি অঞ্চলজুড়ে বিরাজ করছে উদ্বেগ, আতঙ্ক ও নিরাপত্তহীনতা।
এই অঞ্চলের অন্য সকলেই কেবল উদ্বিগ্ন নয়, তাদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষ করে ফিলিস্তিনিরা আশঙ্কা করছেন, এ সংঘাতে মাশুল গুণতে হবে তাদেরই। স্বাধীনতা ও জাতীয় অধিকারের যে আকাঙ্খা তারা এতদিন বহন করে এসেছেন, তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।