ওই দুজনের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইসরাফিল কিছুই করতেন না। তার বাবা ওই চারতলা ভবনের নিরাপত্তা প্রহরী; মা কাজলী বেগম ভবনের পাশেই চায়ের দোকান চালান। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ওই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। পুলিশ এসে লাশের পাশে পড়ে থাকা চিরকুট উদ্ধার করে। এ ছাড়া ঘরে থাকা ইসরাফিলের লেখা একটি ডাইরিতে স্ত্রীকে নিয়ে লেখা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘মা-বাবা আমাকে মাফ করে দিও। আমি তোমাদের সাথে থাকতে পারলাম না। আমার জান, আমার জন্য ফাঁসিতে ঝুলেছে। তাই আমি থাকতে পারলাম না। আমি কাউকে দোষারোপ করি না। কারো কোনো দোষ নাই। আমার জান, আমার জন্য অপেক্ষা করতাছে। সবাই ভালো থাকবা। মা, আমার পাশে রোকেয়ার কবর দিও মা। মা, আমি জানি না আমার জান কেন ফাঁসি দিল। তার জন্য সম্পূর্ণ আমি দায়ী। এতে কারো কোনো দোষ নাই।’