আলজাজিরা জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে ক্ষেপণাস্ত্রের বহর নিক্ষেপ করেছে ইরান। অবৈধ দেশটির সেনাবাহিনী বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইসরাইলি বাহিনী জানিয়েছে, ‘হুমকি’ প্রতিহত করার জন্য তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে।
বাসিন্দাদের সতর্ক করে ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘সতর্কতা পাওয়ার পর আপনাদের অবশ্যই সুরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে হবে।’
তবে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খবর দেয়ার পরপরই ইসরাইল সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ইরান থেকে ছোড়া বেশিরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রই প্রতিহত করা হয়েছে। তবে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ইসরাইলে পড়েছে কি না, তা বলা হয়নি।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘তেহরান খালি করার’ নির্দেশ-সংক্রান্ত হুমকির পর ইরানের রাজধানী তেহরানের কেন্দ্রস্থলসহ বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
বিবিসি জানায়, আন্দারযগৌ এলাকায় ইসরাইলের গোলা আঘাত হেনেছে। তবে কমপক্ষে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক একটি বার্তা সংস্থা।
বিপরীতে, ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা আজই (মঙ্গলবার, ১৭ জুন) প্রথম ‘এক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র’ ব্যবহার করেছেন যা ইসরাইল প্রতিহত করতে অক্ষম।
তিনি বলেন, অল্প কিছু দেশের হাতেই এ ধরনের উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্র আছে।
ইসরাইলের কর্মকর্তাদের মতে, সবশেষ মঙ্গলবার ভোরের হামলায় ৩০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান।