চার বছর আগে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপন করা হয় দুটি ক্যাথল্যাব। কিন্তু প্রশিক্ষিত জনবলের অজুহাতে অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে সেগুলো। অবশেষে অব্যবহৃত ক্যাথল্যাবের একটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের একটি ক্যাথল্যাব চমেকে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার উপসচিব মো. শাহাদত হোসেন কবির স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চমেক হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক রোগীকে নিরবচ্ছিন্ন চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ক্যাথ ল্যাব স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে একটি উপযুক্ত ক্যাথল্যাব চমেকে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
হার্টের রোগীসহ মুমূর্ষ রোগীদের জন্য ক্যাথল্যাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালের দুটি ক্যাথল্যাব সচল হলে জেলার হাজার হাজার রোগীর জীবন বাঁচবে বলে জানান চিকিৎসকরা।
জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সদস্য অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এমনিতেই হাসপাতালে পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই। তার মধ্যে ক্যাথল্যাব দুটি স্থাপনের পর থেকে অব্যবহৃত রয়েছে। এখন একটি অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এ খবর জেলার জন্য সুখকর নয়। যারা ক্যাথল্যাবটি চালু করতে পারেনি এ দায়ভার তাদের।’
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দক্ষ জনবলের অভাবে ক্যাথল্যাব চালু করা যায়নি। আমি যোগদানের পরে ক্যাথল্যাব চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি। ক্যাথল্যাব পরিচালনার জন্য জনবল প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। দ্রুত ক্যাথ ল্যাব চালু করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে যেহেতু দুটি ক্যাথ ল্যাব আছে। একটি দিয়ে রোগীদের সেবা প্রদান করা সম্ভব। আর একটি ক্যাথল্যাব মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চমেকে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’