এশিয়ার দুই ক্রিকেট পরাশক্তি ভারত-পাকিস্তান। কিন্তু দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরীতার প্রভাব পড়েছে খেলার মাঠে। যে কারণে ২০১৩ সালের পর থেকে দ্বিপাক্ষিক কোনো সিরিজ খেলছে না ভারত। পাকিস্তান খেলতে চাইলেও ভারত তাতে রাজি হচ্ছে না। অথচ এই দুই দলের খেলা দেখার জন্য মানুষ অধীর আগ্রহে বসে থাকেন।
ভারত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) টুর্নামেন্ট ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে চায় না। সুযোগ থাকলে তারা আইসিসি ও এসিসির টুর্নামেন্টেও পাকিস্তানকে বর্জন করত।
কিন্তু এমনটি করা মোটেও ঠিক নয় বলছেন ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘খেলাধুলো এগিয়ে চলুক। পহেলগাঁওয়ে যা হয়েছে তা ঠিক হয়নি। এ ধরনের ঘটনা যেন ভবিষ্যতে না হয়। কিন্তু তার জন্য খেলাধুলো বন্ধ হওয়া উচিত নয়। অতীতেও ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু পাশাপাশি খেলাধুলাও চলুক।’
৯ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতে শুরু হবে এশিয়া কাপ। টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান রয়েছে একই গ্রুপে। দুই দেশ তিনবার একে অপরের মুখোমুখি হতে পারে।
পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে রাজি হওয়ায় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ভারতের পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা উচিত নয়, কোনও ক্ষেত্রেই নয়। একমাত্র সম্পর্ক হওয়া উচিত যুদ্ধক্ষেত্রে, আর একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর পুনরুদ্ধার।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তান আমাদের দেশে সন্ত্রাস রফতানি করেছে, অগণিত নিরপরাধ ভারতীয়র জীবন কেড়ে নিয়েছে, পরিবারগুলোকে চিরতরে ভেঙে দিয়েছে। তবুও মাঝে মাঝে শোনা যায়,"খেলাধুলাকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।" না! এ আর চলতে পারে না। যখন একটা দেশ আমাদের বিরুদ্ধে ছায়াযুদ্ধ চালায়, তখন কোনও ‘নিরপেক্ষ ময়দান’ বলে কিছু থাকে না। শহিদদের রক্ত কোনও ক্রিকেট পিচের ঘাসে ধুয়ে ফেলা যায় না। আমাদের তেরঙ্গা উড়ে চলে ব্যাট-বলের জন্য নয়, ভারতীয় সেনার অতুল সাহস আর আত্মবলিদানের জন্য।’