জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তার মনোনয়ন বাতিল করার সঙ্গে সঙ্গেই আইসিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ফারুক আহমেদ। বৃস্পতিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে ফারুক জানান, তিনি এরই মধ্যে আইসিসির পাঁচ-সাতজন পরিচালকের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছেন এবং আইসিসি প্রধান জয় শাহকেও অবহিত করেছেন।
ফরুক জানান, ‘আমি জয় শাহকে ফোন করেছিলাম; কিন্তু উনি ‘ট্রাভেলে’ ছিলেন। তাই কথা হয়নি। তবে সবিস্তারে জয় শাহর সেক্রেটারিকে অবহিত করেছি। জয় শাহর সঙ্গে পরে কথা বলবো। আমার স্থির বিশ্বাস, আইসিসিও খুব দ্রুত অ্যাকশনে যাবে এবং বিসিবিকে হয়তো ২/১ দিনের মধ্যেই নোটিশ করবে।’
ফারুক আহমেদ এর বাইরে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড ভাঙার উদাহরণ টেনে আনেন। তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে ভেঙে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কার মন্ত্রীপরিষদ। কিন্তু আইসিসি তা গ্রহণ করেনি। আইসিসির হস্তক্ষেপে ওই বোর্ড কমিটি পুনর্বহাল হয়।
কথা-বার্তায় পরিষ্কার, ফারুক আহমেদও আইসিসির পক্ষ থেকে তেমন ভূমিকাই আশা করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী পরিষদ তো লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড পুরো ভেঙে দিয়েছিল। আর এখানে বিসিবির তো আর বোর্ড ভাঙা হয়নি। একা এনএসসি থেকে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করেছে দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
তাই এক্ষেত্রে আইসিসি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের মত ফারুকের পাশেও দাঁড়াবে কি না, সংশয় থেকেই যায়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আজ সন্ধ্যা নাগাদ বোর্ডের আট পরিচালক ফারুক আহমেদের বিপক্ষে অনাস্থা এনেছেন। এ মুহূর্তে বোর্ডের পরিচালক সংখ্যা ১০ জন। এরমধ্যে ৮ জন তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। এই অনাস্থা আনাটা ফারুকের আত্মরক্ষার পথকে প্রায় রুদ্ধ করে দিয়েছে।
এখন আইসিসি একা তার প্রতি কতটা সদয় হবে- সেটাই দেখার বিষয়। কারণ, যেহেতু ১০ পরিচালক পর্ষদের ৮ জনই ফারুকের বিপক্ষে অনাস্থা এনেছেন, তাই আইসিসি ফারুক আহমেদের জোর করে বিসিবি প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ খণ্ডন করে বলতে পারে, আপনার বোর্ড পরিচালকদের ৯০ ভাগ আপনার সঙ্গে নেই। অনাস্থা এনেছেন। তাহলে আপনাকে জোর করে সরিয়ে দেওয়া হলো কী করে? আপনার সঙ্গীরাই তো আপনার সঙ্গে নেই। তাহলে আপনাকে জোর পূর্বক সরানোর দাবির যৌক্তিকতা কোথায়?
এখন দেখার বিষয় ফারুক আহমেদ যুক্তি দাঁড় করিয়ে আইসিসি সভাপতি জয় শাহসহ পরিচালকদের তার নিজের পক্ষে সহানুভুতি আদায় করতে পারেন কি না?
এআরবি/আইএইচএস/কেএএ/
