বিজেপি বুঝেছে যে আগেরবারের মতো মোদি-হাওয়া এখনো ওঠেনি। তাদের নজরে আরও ধরা পড়েছে, উত্তর ও পশ্চিম ভারতে ভোটের লাইনে হিন্দুদের চেয়ে মুসলমানদের আধিক্য বেশি। ফলে প্রশ্ন জাগছে, কট্টর হিন্দুত্ববাদী না হয়েও যাঁরা মোদিকে সমর্থন করেছিলেন, তাঁরা এবার নিরুৎসাহিত বোধ করে ঘরে বসে রইলেন কি না। রাজনীতির পরিভাষায় এসব ‘ফ্লোটিং ভোটার’ই জয়ের মার্জিন বাড়ান। তাঁরা মুখ ফেরালে জয় সহজলভ্য হওয়া কঠিন।
বিরোধীরা কিন্তু উৎফুল্ল। তারা মনে করছে, মোদির ‘জুমলাবাজি’ (ভাঁওতা) মানুষ ধরে ফেলেছে। চাকরিবাকরির হাল শোচনীয়। জিনিসপত্রের দাম নাগালের বাইরে। সাধারণের সুরাহার জন্য যাবতীয় প্রতিশ্রুতি একটাও পূরণ হয়নি। ফলে মোদির গ্যারান্টিতে মানুষ ভুলছে না। তাই ভোটের হার কমেছে। তাই বিলকুল হাওয়া নেই। ‘চারশ পার’ স্লোগানও তাই অলীক কল্পনা। প্রথম দফার ভোটের হার দেখেই উপসংহারে পৌঁছে তারা জানিয়েছে, এটা হতে চলেছে মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থাজ্ঞাপনের ভোট।
প্রথম দফার ভোট হয় ১৯ এপ্রিল। সাত দিন পর ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার ভোট। এই সাত দিন ধরে ভারতের গণ ও সামাজিক মাধ্যমগুলো গমগম করছে দুটি বিষয় নিয়ে। একটি মোদিকে হঠাতে ‘পশ্চিমা চক্রান্ত’, দ্বিতীয়টি হিন্দুদের সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে মুসলমানদের বিলিয়ে দেওয়ার ‘কংগ্রেসি প্রতিশ্রুতি’। লক্ষণীয় যে দুটি প্রসঙ্গেরই উত্থাপক প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই।