সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন চিত্রই তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা না করেই প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। খরচ আর মেয়াদ নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বলা হয়েছে, মূল প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ৩ বছর; কিন্তু বাড়তি সময় লেগেছে ১২ বছর। সব মিলিয়ে ১৫ বছরে প্রকল্প শেষ করা হচ্ছে। চলতি ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার কথা।
চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড দুই ভাগে কাজ করেছে।
এদিকে প্রকল্পটির আওতায় কক্সবাজারের রামু থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল; কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় এ পথটির নির্মাণ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তাতে প্রকল্প খরচ কমছে। ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে এই প্রকল্প নিয়ে একটি সংশোধনী প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ কমিয়ে ১১ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এর পরও ব্যয়ের পরিমাণ মূল প্রকল্প থেকে ৩৪৩ শতাংশ বেশি। এখনো এই সংশোধনী প্রস্তাব পাস হয়নি।