সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ১৫ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তের পর দলটির নেতৃত্বের চেষ্টা ছিল দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে ফেরানোর। এ লক্ষ্যে দলের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলার নেতাদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত এবং নেতাদের সব চেষ্টা-তদবির উপেক্ষা করে ৩৮ জন নির্বাচন করছেন। এর মধ্যে দলের থানা-উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮ জন বিভিন্ন পর্যায়ের পদধারী নেতা রয়েছেন।
আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে সারা দেশে ১৬০ উপজেলায় নির্বাচন হবে। প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপেও বিএনপির অন্তত ৩৫ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম, পঞ্চগড় সদরে জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আবু দাউদ প্রধান, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার সদস্য মো. শাহজাহান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার সময় কেঁদে ফেলেন আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও দলের বৃহত্তর স্বার্থে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করছি। আপনারা এই সরকারের অধীন অনুষ্ঠেয় সব নির্বাচন বর্জন করুন, কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না।’