লিভার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা দেহের বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে ফেলা থেকে শুরু করে বিপাক প্রক্রিয়াসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। অথচ আমরা অনেকেই না জেনে প্রতিদিন এমন কিছু খাবার গ্রহণ করছি, যা ধীরে ধীরে লিভারের ভয়ানক ক্ষতি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সাধারণ খাবারই হতে পারে লিভার ক্ষয়ের নেপথ্যের প্রধান কারণ।

নিচে তুলে ধরা হলো সেই তিনটি খাবার, যেগুলো থেকে সাবধান না হলে ভবিষ্যতে লিভার জটিলতায় ভুগতে হতে পারে—

১. ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিড অয়েল (শিল্পজাত বীজতেল)

সানফ্লাওয়ার, সয়াবিন, কর্ন বা ক্যানোলা তেলের মতো ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিড অয়েলগুলোকে বলা হয় “অত্যধিক প্রক্রিয়াজাত তেল”, যেগুলোর মধ্যে উচ্চমাত্রার ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এগুলো অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে লিভারের ওপর গুরুতর চাপ ফেলে। আধুনিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই তেলগুলো নিয়মিত গ্রহণ করলে ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

২. ফ্রুক্টোজ-সমৃদ্ধ খাবার

ফ্রুক্টোজ হচ্ছে এক ধরনের প্রাকৃতিক চিনি, কিন্তু যখন এটি পরিশোধিত আকারে— যেমন হাই-ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ হিসেবে সফট ড্রিংকস, ক্যান্ডি, প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত হয়— তখন তা মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত ফ্রুক্টোজ লিভারে জমা হয়ে সেখানকার কোষে চর্বি বাড়িয়ে দেয় এবং অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার রোগের (NAFLD) ঝুঁকি বাড়ায়।

৩. ফলের রস (বাজারজাত)

অনেকেই ভাবেন ফলের রস স্বাস্থ্যকর। কিন্তু বাজারে বিক্রি হওয়া ফলের জুসে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক এবং পরিশোধিত চিনির সংমিশ্রণ থাকে, যা সরাসরি রক্তে ফ্রুক্টোজ বাড়িয়ে তোলে। ফলের আঁশ না থাকার কারণে এই চিনি দ্রুত লিভারে গিয়ে জমা হয়, যা লিভারের ক্ষতি করে এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:

লিভার সুস্থ রাখতে হলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে এই ধরনের খাবার বাদ দিতে হবে বা কমিয়ে আনতে হবে। পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, এবং প্রাকৃতিক ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে—আঁশসহ ফল খাওয়া হবে আরও উপকারী।



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews