স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মহিলা ফুটবল লীগে সবচেয়ে দামী ও শক্তিশালী দল গড়েছিল বসুন্ধরা কিংস। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রায় ৯০ শতাংশ ফুটবলারকে নিজেদের ডেরায় ভেড়াতে পারলে সেই দলই যে সবচেয়ে শক্তিধর দল, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। লীগ শুরুর পর সেটাই দেখা যায়। প্রতি ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে কিংসের মেয়েরা, প্রতি ম্যাচেই করছে মুড়ি-মুড়কির মতো গোল। এতে করেই বাকি দলগুলোর সঙ্গে তাদের ব্যবধান সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেটা এতটাই, কোন ম্যাচেই তারা প্রতিপক্ষ দলের কাছ থেকে কোন গোলও হজম করেনি! প্রতি ম্যাচেই দলের গোলরক্ষক রূপনা চাকমা গোলপোস্টে কাটাতে হয় অলস সময়। প্রথম ৭ ম্যাচে বসুন্ধরা করে ৬৩ গোল। মঙ্গলবার তারা খেলেছে অষ্টম ম্যাচটি। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচেও কিংস জিতেছে যথারীতি বড় ব্যবধানেই (এই ম্যাচরে পর তাদরে গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ৭৫-এ)। কিন্তু উল্লেখ করার মতো ব্যাপার হলো, এদিন তারা প্রতিপক্ষ স্পার্টান এমকে গ্যালাক্টিকো সিলেট এফসির কাছে একটি গোল হজম করেছে! ফলে বসুন্ধরা যে ম্যাচে ১২-১ গোলে জিতেছে, সেটা যেন প্রচারের আড়ালে চলে গেছে (হ্যাটট্রিকসহ একাই ৪ গোল করেন কৃষ্ণা রাণী সরকার। অধিনায়ক সাবিনা খাতুন করেন হ্যাটট্রিক)! এদিকে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে নাসরিন ফুটবল একাডেমি ৩-১ গোলে হারায় বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাবকে।
নিজেদের অষ্টম ম্যাচে এটা বসুন্ধরার অষ্টম জয়। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা ধরে রেখেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানটি। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা সপ্তম হার গ্যালাক্টিকোর। ১ ড্রতে মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তলানিতে (৭ দলের মধ্যে সপ্তম)। ৮ খেলায় ৭ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে নাসরিন আছে দুইয়ে। আর সমান খেলায় ষষ্ঠ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আনোয়ারার অবস্থান পঞ্চম।
৮৫ মিনিটে স্পার্টানের ডিফেন্ডার মনিকা আক্তার একটি গোল করেন। এর ফলে এই লীগে এ পর্যন্ত গোল হজম না করার যে গর্ব ছিল বসুন্ধরার, সেটি ধূলিসাৎ হয়ে যায়।