প্রায় এক দশক আগে ৮০০ ডলারের কম মূল্যের চীনা পণ্য শুল্কমুক্তভাবে আমদানির সুযোগ চালু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চীনে জন্ম হয় তেমু বা শেয়েন-এর মতো সস্তা পণ্যের জনপ্রিয় অনলাইন বিপণন জায়ান্টদের।



এই শুল্ক ছাড়ের ফলে চীনের কারখানা থেকে অবিশ্বাস্য কম দামে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে যেত চীনা পণ্য।

কিন্তু শুধু কম দামে পণ্য নয়, এই শুল্ক-মুক্ত সুবিধা এনে দেয় বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন সুযোগ।







যার ফলে মেটা, অ্যালফেবেট(গুগল), ইউটিউব এবং টিকটক-এর মতো

মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্টরা পেয়ে গিয়েছিল এক বিশাল আয়ের উৎস। শেষ দুই বছরে তেমু এবং শেয়েন অ্যামাজনের পর যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি অনলাইন বিজ্ঞাপন দিয়েছে।

তবে, এই ব্যাপক বিজ্ঞাপনী আয় হয়তো এবার থেমে যাচ্ছে। শুক্রবার (২ মে), মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, চীন ও হংকং থেকে আসা ৮০০ ডলারের কম মূল্যের পণ্যেও এখন থেকে আমদানি শুল্ক দিতে হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে তেমু এবং শেয়েন-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছু পণ্যে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হবে, যা তাদের মূল ব্যবসার মডেলের জন্যই বড় ধাক্কা।

পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তেমু জানিয়েছে, তারা এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য সরাসরি চীন থেকে পাঠাবে না। বরং স্থানীয় ফুলফিলমেন্ট মডেল-এ রূপান্তরের অংশ হিসেবে তাদের মার্কিন গুদাম থেকেই পার্সেল পাঠানো হবে। তারা ইতিমধ্যে কিছু পণ্যে আমদানি ফি যোগ করেছে, যার ফলে পণ্যের দাম ও ডেলিভারি খরচ একবারেই দ্বিগুণ হয়ে গেছে।

তবে শেয়েন এখনো এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থা তেমু এবং শেয়েন-এর মতো সস্তায় পণ্য বিক্রয়কারী ও মেটা, গুগল, ইউটিউবের মত বিজ্ঞাপননির্ভর ব্যবসাগুলোর জন্য গুরুতর ব্যবসায়িক আঘাত নিয়ে আসবে।

সূত্র: নিউ ইয়র্ক টাইমস

এমএম



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews