ইউক্রেন যুদ্ধ ১০ মাসে পদার্পণ করার পর বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে মনে হচ্ছে-এ যুদ্ধ শিগগির শেষ হবে না। ইউক্রেনের মিত্র পশ্চিমারা যদিও রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করতে ইউক্রেনকে চাপ দিচ্ছে; তারপরও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এখনই রাশিয়ার সঙ্গে কোনো প্রকার আপস-রফায় যাবে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কারণ, ইউক্রেন মনে করে, রাশিয়ার কাছে বেশকিছু পরিমাণ ভূমি দখলে থাকার পর পশ্চিমাদের চাপে সমঝোতার টেবিলে বসা মানেই, ইউক্রেনের জন্য আত্মসমর্পণ করার শামিল হবে। ওদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলি বলেছেন, ‘সত্যিকার অর্থে বিবেচনা করলে সামরিক উপায়ে কেউই যে জয়ী হবে না-উভয় পক্ষকে বিষয়টি মেনে নিতে হবে। অতএব রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি কিয়েভকে বিবেচনা করতে হবে।’ তবে রশিয়ার দখলে থাকা চার অঞ্চল সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত জেলেনস্কি তাদের এ প্রস্তাব গ্রহণ করবেন বলে মনে হয় না। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা অর্থবহ আলোচনার ভবিষ্যৎ এখন পর্যন্ত অনেকটা দূরে বলেই মনে হচ্ছে। সমঝোতায় বসার আগে ইউক্রেন চাইবে যুদ্ধক্ষেত্রে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে। সমঝোতার জন্য ইউক্রেনের অপেক্ষা করার যৌক্তিকতা আছে। যুদ্ধ এখন ইউক্রেনের পক্ষে। যদিও গত মার্চে জেলেনস্কি আলোচনায় বসতে নমনীয় অবস্থান নিলেও লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জপোরিঝঝিয়া ও খেরসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণার পর সে অবস্থান থেকে স্পষ্টতই সরে আসেন তিনি। এ ঘোষণার পর আলোচনায় বসার সম্ভাবনা নাকচ করে জেলেনস্কি একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন। জেলেনস্কির এ ডিক্রি জারির পর থেকে ইউক্রেন যুদ্ধের ময়দানে সাফল্য অর্জন করে চলেছে। আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে; তা হলো-ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের ওপর রাশিয়ার অবিরত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এ বিষয়ে জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখায়েল পোদোলিয়াক বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করার চাপ দিয়ে বলেছে, ‘সামরিক উপায়ে সবকিছু করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। আমাদের আলোচনায় বসতে হবে।’ পশ্চিমাদের এমন আহ্বানে ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের এই উপদেষ্টা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়া সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেয়নি। শুধু সময়ক্ষেপণের জন্য আলোচনাকে ব্যবহার করতে চাচ্ছে। অতি সম্প্রতি জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে বসতে পাঁচটি শর্তের একটি তালিকা দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হচ্ছে, ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ইউক্রেনকে ক্ষতিপূরণ প্রদান। অবশ্য ইতঃপূর্বে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তার অস্বীকৃতির কারণগুলোর মধ্যে এসব শর্তের কথা উল্লেখ ছিল না। ইউক্রেনকে সমঝোতার জন্য পশ্চিমাদের চাপের কারণও আছে। ক্রমবর্ধমান জন-অসন্তোষে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের মধ্যে অস্থিরতা বেড়েছে। দেশগুলোয় জ্বালানি খাতে খরচ ও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। জ্বালানি সংকটের জন্য ইউরোপে অসন্তোষ আরও উসকে উঠছে। ইউরোপের এ অস্থিরতা ইউক্রেন যুদ্ধেরই ফলাফল। এদিকে রাশিয়া সামরিক কৌশলের পাশাপাশি রাজনৈতিক কৌশলের ওপরও জোর দিচ্ছে। তাদের ধারণা, জ্বালানি সংকটে আসন্ন শীত মৌসুমে ইউরোপে অসন্তুষ্ট তীব্র আকার ধারণ করবে। তাতে ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন ক্রমশ কমে আসবে। তাতে এ পরিস্থিতি ইউক্রেনের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।





বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ কেন্দ্রগুলোয় ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেন তীব্র বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে। এবারের শীতে কিয়েভের বাসিন্দাদের জন্য দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রিরও কমে নেমে এসেছে। সেখানে তুষারপাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শহরটিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ সরবরাহ করতে পারছে কর্তৃপক্ষ। শহরের বাসিন্দারা বর্তমানে প্রতিদিন মাত্র ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এ কারণে শহরের বেশির ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ ও উষ্ণ ব্যবস্থার সুযোগ পাচ্ছে না। রাশিয়ার ধারাবাহিক হামলায় বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রগুলো ধ্বংসপ্রায়। বিদ্যুৎ ছাড়া কিয়েভে জীবন ধারণ অসম্ভব। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রুশ হামলায় ইউক্রেনের প্রায় ১ কোটি মানুষ বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে। রাশিয়া তাদের সুবিধার জন্য শীত মৌসুম, তুষার এবং বরফকে ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। এ পরিস্থিতিতে জেলেনস্কি বলেছেন, শীতের এই মৌসুমে রাশিয়া নতুন করে আরও বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় সবাইকে কঠিন সময়ের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করে দেশটির প্রসিকিউটর জেনারেল এন্ড্রি কস্টিন বলেছেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা গণহত্যার শামিল। বর্তমানে ইউক্রেনের ১৪টি অঞ্চল ও কিয়েভে সীমিতভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার হচ্ছে। ওদিকে ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে শীতকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। তিনি আরও বলেছেন, আমরা যখন শীত মৌসুমে প্রবেশ করছি, তখন ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে রাশিয়ার এ হামলা এটাই প্রমাণ করে যে, পুতিন এখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে শীতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। রাশিয়া সম্ভবত ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিড, গ্যাস অবকাঠামো ও জনগণের জন্য মৌলিক পরিষেবাগুলোয় আক্রমণ চালিয়ে যাবে। এটি ভয়াবহ, আর এ কারণেই ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো ইউক্রেনের প্রতি তাদের সহায়তা বাড়িয়েছে।

ন্যাটো মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি পাওয়া যায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবার কণ্ঠে। তিনি বলেছেন, প্রকাশ্যে ছাড়াও এমন কিছু দেশ আছে, যারা গোপনে তাদের কাছে অস্ত্রের চালান পাঠাচ্ছে। যদিও তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র সরবরাহের কথা অস্বীকার করছে। যুক্তরাজ্য ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেওয়া জোরদার করেছে। ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে ব্রিমস্টোন-২ নামের অত্যাধুনিক গাইডেড মিসাইল দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য ঘোষণা করেছে, যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ তারা ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে। তারা সামরিক সহায়তা জারি রাখবে। প্রয়োজনে আগামী বছর এ সহায়তা আরও বৃদ্ধি করবে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনের জন্য নতুন করে বিমান সহায়তা সরবরাহ করব।’ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থাপনায় রাশিয়া ‘কামিকাজে’ ড্রোন ব্যবহার করে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তাদের মোকাবিলায় ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে গ্রে ইগল ড্রোন চেয়েছে। গ্রে ইগল ড্রোন ২৯ হাজার ফুট উঁচুতে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে উড়তে পারে। তবে এখন পর্যন্ত বাইডেন প্রশাসন শক্তিশালী এ ড্রোন দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তাদের ধারণা, এ ড্রোন একবার ভূপাতিত করতে পারলে এটি তৈরির টেকনোলজি রাশিয়ার হাতে চলে যেতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তারপরও বাইডেন প্রশাসনের প্রতি মার্কিন সিনেটের ১৬ জন সদস্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে গ্রে ইগল ড্রোন সরবরাহ করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছেন। উল্লেখ্য, ইউক্রেনকে সহায়তাকারী দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান প্রথম। তারপর যুক্তরাজ্য। তবে ন্যাটোভুক্ত বেশির ভাগ দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিতে গিয়ে নিজেরাই এখন অস্ত্র স্বল্পতার মুখে পড়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসে সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, পশ্চিমা ৩০টি দেশের মধ্যে ২০টি দেশ অস্ত্র স্বল্পতায় ভুগছে।

যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে সে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ‘আমি পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত, যদি পুতিন যুদ্ধ শেষ করার আগ্রহ দেখায়। কিন্তু তিনি এখনো তা করেননি।’ যুক্তরাষ্ট্রের শর্ত হলো-পুতিনের সামরিক বাহিনীকে ইউক্রেন থেকে বের হয়ে যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রস্তাবের জবাবও তাৎক্ষণিকভাবে দিয়েছে ক্রেমলিন। তারা বাইডেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য উলটো কিছু শর্ত দিয়ে বলেছে, ‘নিশ্চতভাবেই রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। যে কোনো আলোচনা বা সমঝোতার আগে রাশিয়ার দখলকৃত চার অঞ্চকে স্বীকৃতি দিতে হবে। শর্ত ও পালটা শর্তের কারণে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে, এ যুদ্ধ শিগগিরই বন্ধ হওয়ার নয়। অতএব, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান অব্যাহত থাকবেই। এমন অবস্থায় ইউক্রেনকে শীত মৌসুমের ভয়াবহ পরিস্থিত মোকাবিলা করতেই হবে।

সাম্প্রতিককালে ইউক্রেন পালটা আক্রমণ চালিয়ে যদিও বিশাল এলাকা রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে; তবুও রুশ বাহিনীর দখলে থাকা বাকি এলাকা উদ্ধার করতে পারবে না বলে অনেকের ধারণা। বর্তমানে ইউক্রেনের ওপর সমঝোতা করার জন্য পশ্চিমারা যে চাপ সৃষ্টি করছে, তা ‘ডেটন চুক্তি’র আগে বসনিয়ার ওপর যে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল; তার সঙ্গে তুলনীয়। ১৯৯৫ সালে বসনিয়া বাহিনী যখন পালটা আক্রমণ চালিয়ে সাফল্য পেতে শুরু করে, তখনই পশ্চিমাদের চাপে তাদের থামতে হয় এবং শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরে বসতে বাধ্য হতে হয়। বসনিয়ার ক্ষেত্রে আলোচনার জন্য যে চাপ তৈরি হয়েছিল, তা বসনিয়াকে দুর্বল অবস্থানে নিয়ে যায়। এ কারণে বসনিয়া সেনাবাহিনীর আরও এলাকা মুক্ত করার সুযোগ থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে সার্বিয়া ও সার্ব বিদ্রোহীরা আলোচনায় বিশেষ সুবিধা পেয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে সে সুবিধা তাদের পাওয়ার কথা ছিল না। কোনো কোনো ইউরোপীয় বিশেষজ্ঞের মতে, একইভাবে ইউক্রেন যখন যুদ্ধের ময়দানে কিছুটা ভালো অবস্থানে যেতে শুরু করেছে, তখন তাদেরও সমঝোতায় বসতে বলা হচ্ছে।

জেলেনস্কি অবশ্য ক্রিমিয়াসহ রাশিয়া কর্তৃক দখলকৃত সব অঞ্চল মুক্ত করার দৃঢ়সংকল্প ব্যক্ত করেছিলেন। পশ্চিমাদের চাপে এখন যদি তিনি সমঝোতা বৈঠকে বসেন, তাহলে যুদ্ধের ময়দানে তার প্রভাব পড়বে সন্দেহ নেই। ইউক্রেন সেনাবাহিনীর মনোবল তখন ভেঙে পড়বে এবং শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনকেও বসনিয়ার মতো ভাগ্যবরণ করতে হবে। জেলেনস্কি জানেন, তিনি যদি আলোচনায় বসেন, তাহলে ক্রিমিয়াকে তো রাশিয়া থেকে মুক্ত করতে পারবেনই না; বরং বর্তমানে রাশিয়া কর্তৃক দখলকৃত চার অঞ্চলকেও হারাতে হবে। আলোচনার টেবিলে দরকষাকষিতে রাশিয়া যদি দোনবাস অঞ্চলের ব্যাপারে কিছুটা ছাড়ও দেয়, তারপরও ওই অঞ্চলকে স্বায়ত্তশাসন দিতে ইউক্রেনকে বাধ্য করা হতে পারে। তাতে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা ওই অঞ্চলের শাসনক্ষমতায় নাক গলানোর সুযোগ পাবে। এসব কিছু বিবেচনা করে জেলেনস্কি হয়তো এ মুহূর্তে কোনো সমঝোতা বৈঠকে বসতে রাজি হবেন না। তিনি বরং যুদ্ধক্ষেত্রের সাফল্যের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। এ ধরনের সমঝোতা বৈঠকে বাড়তি সুবিধা আদায় নির্ভর করে যুদ্ধের ময়দানে কার কী অবস্থান, তার ওপর। যুদ্ধের ময়দানে যে পক্ষ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে, আলোচনার ফলাফলও তার পক্ষেই যাবে। যদিও যুদ্ধ করে রাশিয়াকে সম্পূর্ণ বিতাড়িত করা ইউক্রেনের পক্ষে সম্ভব হবে না; তারপরও জেলেনস্কি যদি আরও বিরাট অঞ্চল দখলমুক্ত করে সমঝোতা বৈঠকে বসেন, তাহলে দরকষাকষিতে তিনি বাড়তি সুবিধা আদায় করে নিতে পারবেন। তবে এসবকিছুই নির্ভর করবে, এই শীতের ভয়াবহ পরিস্থিতি তিনি কীভাবে সামাল দেন, তার ওপর।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা



Contact
reader@banginews.com

Bangi News app আপনাকে দিবে এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা যা আপনি কাগজের সংবাদপত্রে পাবেন না। আপনি শুধু খবর পড়বেন তাই নয়, আপনি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে উপভোগও করবেন। বিশ্বাস না হলে আজই ডাউনলোড করুন। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি।

Follow @banginews