বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ফের সোচ্চার হলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) কলকাতায় তিনি বলেন, ‘ওপারে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ না হলে পেট্রাপোলে গিয়ে প্রতিবাদ করব।’
এর আগে বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠি দিয়ে তৎপর হতে অনুরোধ করেছিলেন শুভেন্দু। এবার হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে সরাসরি পথে নামলেন তিনি।
এদিন বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে বেকবাগানে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন পর্যন্ত মিছিলে অংশগ্রহণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিছিলের আয়োজন করে গিরি গোবর্ধনধারী চ্যারিটেবল ট্রাস্ট নামে একটি সংগঠন। এই মিছিলটি আয়োজনে পুলিশি অনুমতি না মেলায় উদ্যোক্তরা কলকাতা হাইকোর্টে যান। শান্তিপূর্ণ মিছিলের শর্তে এদিন মিছিল করার অনুমতি দেয় কলকাতা হাই কোর্ট।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ যদিও এ নিয়ে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মিছিলের বিরোধী। রানী রাসমণি এভিনিউ থেকে বেকবাগান পর্যন্ত এই মিছিল করা যাবে। তবে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিল করতে হবে।’
বিচারপতির নির্দেশে দেন, উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হলে ভিড় সরাতে লাঠি চার্জ করতে পারবে পুলিশ। মিছিলের এলাকায় কোনও সমস্যা তৈরি করলে স্থানীয় মানুষের বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারবে পুলিশ।
এদিন মিছিলের শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র ওকৌস্তুভ বাগচী। মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘আমরা আক্রান্ত। আমরা বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারকে সেই বার্তা দিতে চাই। বন্ধ করুন এই সব। বন্ধ না করলে প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।’
এরপরই তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন বন্ধ না হলে আমরা পেট্রাপোল সীমান্তে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে আসব। আপনারা সংঘবদ্ধ, ঐক্যবদ্ধ হোন। আর আমার বিরুদ্ধে যেখানে পারেন অভিযোগ করুন ভয় পাই না। মন্দির ভাঙার বিরুদ্ধে, হিন্দুদের আক্রমণের বিরুদ্ধে আক্রমণ হলে আমাদের ধর্ম রক্ষা করার কাজ আমরা চালিয়ে যাব। কেউ আমাদের রুখতে পারবে না।’