বাংলাদেশে থাই পাঙাশের কৃত্রিম প্রজননে সফলতা আসে ১৯৯৩ সালে। পরে এই পাঙাশ দেশের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎসে পরিণত হয়। কিন্তু এই জায়গা দখলে নিতে পারত দেশের নদ-নদীতে পাওয়া সুস্বাদু দেশি প্রজাতির পাঙাশ। কেননা, দেশি পাঙাশের কৃত্রিম প্রজননও সফল হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত উদ্যোগটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে দেশি পাঙাশকে সাধারণের জন্য সহজলভ্য করার সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন সে সময়কার তরুণ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। ১৯৮৭ সালে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের চাঁদপুরের নদী কেন্দ্রে যোগ দেন তিনি। যোগদানের পরের বছর দেশি পাঙাশের কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে পোনা উৎপাদন ও চাষাবাদ কৌশল প্রণয়নের দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর।
দীর্ঘ ১৬ বছরের পরিশ্রমে ২০০৪ সালের জুনে দেশি পাঙাশের প্রজনন ঘটিয়ে পোনা উৎপাদন সম্ভব হয়। কিন্তু চার মাসের মাথায় এই পোনা পুকুর থেকে ‘রহস্যজনকভাবে’ চুরি হয়ে যায়। এরপর এই উদ্যোগ আর সফল হয়নি। এ জন্য কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গবেষণার ধারাবাহিকতা রক্ষা না করাকে দায়ী করেন খলিলুর রহমান।
অন্যদিকে, ১৯৯০ সালে থাইল্যান্ড থেকে আনা পাঙাশের পোনার কৃত্রিম প্রজননের দায়িত্বও খলিলুর রহমানকে দেওয়া হয়। তিন বছরের মধ্যে সে কাজে সফল হন তিনি। এই সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় পদক পান।